কাবুল বিমানবন্দরে ফের গোলাগুলি, নিহত ১
আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে এক আফগান নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
সোমবার (২৩ আগস্ট) এ ঘটনা ঘটে।
জার্মান সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
এদিকে এ বিষয়ে একটি টুইটও করেছে জার্মান সেনাবাহিনী।
টুইটবার্তায় তারা লিখেছে, বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় থাকা এক রক্ষী নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও তিনজন। সংঘর্ষে কোনো জার্মান সেনা আহত বা আঘাতপ্রাপ্ত হননি।
আফগানিস্তানের পুরো নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে গেলেও এখনো কাবুল বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি তারা। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মার্কিন ও ৯০০ ব্রিটিশ সেনা বিমানবন্দরের দায়িত্বে রয়েছে। আছে জার্মানি ও অন্যান্য দেশের সেনারা। সেখানে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়াও কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
এদিকে, আফগানিস্তানে তালেবানের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর দেশ ছাড়তে বেপরোয়া লোকজনের হুড়োহুড়িতে কাবুল বিমানবন্দরের কাছে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে রোববার (২২ আগস্ট)।
রোববার ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের (এমওডি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিমানবন্দরের পরিস্থিতি খুবই চ্যালেঞ্জিং। পরিস্থিতি সামলাতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। নিরাপদে লোকজনকে সরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কাবুলে ভিড়ে মারা যাওয়া আফগান বেসামরিক নাগরিকদের পরিবারের প্রতি আমরা আন্তরিক সহানুভূতি প্রকাশ করছি।
বিশৃঙ্খল কাবুল বিমানবন্দরে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে আফগানিস্তানের তালেবান যোদ্ধারা। বিমানবন্দরের প্রধান ফটকের বাইরে লোকজন যাতে সুশৃঙ্খলভাবে সারিবদ্ধ হতে পারে, তা নিশ্চিত করতে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরের চৌহদ্দির বাইরে লোকজনকে জড়ো হওয়ার অনুমোদন দিচ্ছে না তালেবান।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে। রোববার (২২ আগস্ট) ভোর হওয়ার সময় বিমানবন্দরে কোনো বিভ্রান্তি কিংবা সহিংসতা দেখা যায়নি। যদিও সেই ভোরেও সেখানে মানুষের দীর্ঘ সারি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
শনিবার রাতে কাবুলের চারটি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে অস্ট্রেলিয়া। এতে অস্ট্রেলীয়, আফগান ভিসাধারী, নিউজিল্যান্ডের অধিবাসী, মার্কিন ও ব্রিটিশ নাগরিকসহ ৪০০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এমন খবর দিয়েছেন।
নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা বলে এদিন কাবুল বিমানবন্দরে যেতে নাগরিকদের নিষেধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি। যদিও আফগান ছাড়তে হাজার হাজার মানুষকে বিমানবন্দরটিতে জড়ো হতে দেখা গেছে।
গেল রোববার থেকে এখন পর্যন্ত একক রানওয়ের বিমানবন্দরটিতে ২০ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন গুলিতে, বাকিরা পদদলিত হয়ে নিহত হয়েছেন। সপ্তাহখানেক ধরে তীব্র গরম ও ধুলাবালির মধ্যে সেখানে পলায়নরত মানুষের ভিড় বেড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য যেসব দেশ বহু আফগান নাগরিকসহ, কূটনৈতিক ও বেসামরিক লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার যে চেষ্টা করছে, অতিরিক্ত ভিড় ও পাড়াপাড়িতে তাদের অভিযান ব্যাহত হচ্ছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন