গোপালগঞ্জের বশেমুরবিপ্রবিতে অনলাইন পরীক্ষা; ফি না নেয়ার দাবি

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহেই শুরু হতে যাচ্ছে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা৷ অনলাইন মাধ্যমে আপাততো চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা নিয়ে শুরু হচ্ছে পরীক্ষা কার্যক্রম।

পরীক্ষা অনলাইনে হলেও বিজ্ঞপ্তিতে দেয়া হয়েছিলো প্রবেশ পত্র ও কেন্দ্র ফি দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস.এম. গোলাম হায়দার এর সাথে। জানতে চাওয়া হয় অনলাইনে পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা নিজেদের খাতা, লুজ ব্যবহার করবে। সেক্ষেত্রে কেন তাদের কেন্দ্র ফি দিতে হবে এবং অনলাইন পরীক্ষায় প্রবেশ পত্রের জন্য ফি নেয়াটা কতটা যৌক্তিক?

এ বিষয়ে তিনি বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাবকে বলেন, “এসব ফি গুলো শিক্ষার্থীদের থেকে এখন নেয়া হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর এ বিষয়ে আলোচনা করে ফি নির্ধারণ করা হবে। ”

কেন্দ্র ফি ও প্রবেশ পত্রের ফি শিক্ষার্থীদের থেকে না নেয়ার জন্য প্রেসক্লাব থেকে দাবি জানালে তিনি এ বিষয়ে আরো বলেন, “এ দুইটা ফি নাও দেয়া লাগতে পারে। আমরাও যতটুকু জানি বিশ্ববিদ্যালয় খুললে হয়তো এই ফি গুলো দেয়া লাগবে না। তবে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।আলোচনা করে কিছু কিছু ফি বাদ দেয়া হতে পারে। ”

এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাব এর পক্ষ থেকে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোঃ কামরুজ্জামান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে কেন্দ্র ফি, প্রবেশ পত্র ফি না নিতে উপাচার্য স্যারকে অনুরোধ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা যেহেতু পরিবহন, লাইব্রেরি ও হল ব্যবহার করছে না, সেহেতু এ ফি গুলো শিক্ষার্থীরা কেন দিবে? আমরা শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে উপাচার্য স্যারকে কেন্দ্র ফি, হল ফি, প্রবেশপত্র ফি, লাইব্রেরি ফি ও পরিবহন ফি শিক্ষার্থীদের থেকে না নেয়ার অনুরোধ করলে উপাচার্য স্যারও এ বিষয়ে আন্তরিক মনোভাব পোষণ করেছেন।তোমরা প্রেসক্লাব যেভাবে এগুলো বিষয়ে এগিয়ে আসছো, আমরাও দাবি জানাচ্ছি, স্যারও আন্তরিক, আশা করছি এ গুলো শিক্ষার্থীদের থেকে করোনাকালীন সময় বিবেচনা করে নেয়া হবে না।”