হেফাজতের নতুন আমির হলেন মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির নির্বাচিত হয়েছেন আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সংগঠনের খাস ও কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক শেষে আমির হিসেবে তার নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়।

হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদ্রিস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘খাস ও কেন্দ্রীয় কমিটির সভা শেষে আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীকে হেফাজতের আমির নির্বাচিত করা হয়েছে।’

মাওলানা মীর ইদ্রিস বলেন, ‘বৈঠকে কারাবন্দী নেতাকর্মীদের মুক্ত করা এবং কওমি মাদ্রাসা খুলে দিতে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এছাড়া জুনায়েদ বাবুনগরীর জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা করার সিদ্ধান্ত হয়।’

এর আগে রোববার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁও মাদরাসায় মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে হেফাজতের খাস কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী, আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, অধ্যক্ষ মিযানুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা সাজেদুর রহমান, মাওলানা মুহিউদ্দীন রব্বানী, মাওলানা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী, মাওলানা আব্দুল আউয়াল প্রমুখ।

দুপুরে খাস কমিটির বৈঠক শেষ হয়। এরপর বিকেল ৩টার দিকে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক শুরু হয়। ওই বৈঠকে আমির হিসেবে মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীকে চূড়ান্ত করা হয়।

হেফাজত সূত্র জানায়, গতকাল শনিবার মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ঢাকায় পৌঁছানোর পর বর্তমান মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদীর সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে ভারমুক্ত হওয়ার বিষয়টি আলোচনা হয়।

মূলত মহাসচিবের ইচ্ছায় বাবুনগরী দ্রুত ভারমুক্ত হয়েছেন বলে জানান হেফাজতের নেতারা। এর আগেও তার ইচ্ছায় হেফাজতের ভারপ্রাপ্ত আমির হিসেবে মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর নাম ঘোষণা করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ আগস্ট হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী মারা যান। ওইদিন রাতেই আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীকে হেফাজতের ভারপ্রাপ্ত আমির ঘোষণা করা হয়। সেই হিসেবে ১০ দিন পরই ভারমুক্ত হলেন মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী।

মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী সম্পর্কে সদ্য প্রয়াত জুনায়েদ বাবুনগরীর মামা। তিনি হেফাজতের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ১৯৩৪ সালে ফটিকছড়ির বাবুনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগর মাদরাসার মহাপরিচালক। তিনি ইসলামী ঐক্যজোট, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ ও আল হাইআতুল উলয়া-লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশের শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।