ড. ইউনূস সহ চারজনের সম্পদের হিসাব দিলো গ্রামীণ টেলিকম
ড. ইউনূস সহ চারজনের সম্পদের হিসাব দুদকে দিলো গ্রামীণ টেলিকম। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ পরিচালনা পর্ষদের চার সদস্যের সম্পদের হিসাব দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা দিয়েছে গ্রামীণ টেলিকম।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা গুলশান আনোয়ার প্রধানের কাছে এসব নথি হস্তাস্তর করেন। গুলশান আনোয়ার প্রধান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের অর্থ না দিয়ে তা আত্মসাৎ ও ৩ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তলব করে দুদক। শুধু তাই নয়, কোম্পানি প্রতিষ্ঠার পর থেকে লেনদেনের সব তথ্যও চাওয়া হয়।
চিঠিতে গ্রামীণফোনে গ্রামীণ টেলিকমের শেয়ার ও তার বিপরীতে ১৯৯৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানি কত টাকা লভ্যাংশ পেয়েছে, ওই লভ্যাংশের টাকা কোন কোন খাতে কীভাবে ব্যয় করেছে, তার বছরভিত্তিক তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ টেলিকম পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা পরস্পর যোগসাজশে দুই হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ের উদ্দেশ্যে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মাসাৎ করেন। তাই এসব বিষয়ে বিশদ নথি চেয়ে চিঠি দেয় দুদক।
সম্প্রতি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগসহ একটি প্রতিবেদন দুদকে জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনটি কমিশন পর্যালোচনা করে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।
গ্রামীণ টেলিকমের অনিয়ম অনুসন্ধানে নাম আসা অভিযুক্তদের দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করবে কি না জানতে চাইলে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন জানিয়েছেন, অনুসন্ধানের জন্য বিধিবিধান অনুযায়ী অনুসন্ধান করবে দুদক। প্রয়োজন মনে করলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হতে পারে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন