ভারত রাশিয়ার তেল কিনতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো আপত্তি নেই : অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন
ভারত যদি পশ্চিমা বীমা, আর্থিক ও সামুদ্রিক পরিষেবাগুলো থেকে দূরে সরে গিয়ে রাশিয়ার তেল কেনা অব্যাহত রাখতে চায় তাতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন।
তিনি বলেছেন, ভারত চাইলে রাশিয়ার কাছ থেকে যত খুশি তেল কিনতে পারে। এমনকি জি৭ রাশিয়ার তেলের দামে যে সীমা বেঁধে দিতে যাচ্ছে তার থেকে বেশি দামে।
যুক্তরাষ্ট্র-ভারত অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো গভীর করার লক্ষ্যে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনের ফাঁকে শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলেন ইয়েলেন।
তেল বিক্রি থেকে রাশিয়ার রাজস্ব আয় হ্রাসে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার তেলের দামের সর্বোচ্চ সীমা (ক্যাপ) নির্ধারণ করে দিতে চাইছে। যা বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমিয়ে রাখতে সহায়তা করবে বলেও মনে করেন ইয়েলেন।
শিগগিরই ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার তেলের দামের উপর আরোপ করা ওই ক্যাপ কার্যকর করবে। রাশিয়া যদি বেঁধে দেওয়া ওই দামে তেল বিক্রি করতে রাজি না হয় তবে ইইউ দেশটির কাছ থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দেবে।
ইয়েলেন বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন যখন রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করে দেবে তখন দেশটি এখন যে পরিমাণ তেল বিক্রি করতে পারছে সেই পরিমাণ তেল বিক্রি করাও তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে। রাশিয়া এখন হন্যে হয়ে ক্রেতা খুঁজছে এবং অনেক ক্রেতা পশ্চিমা পরিষেবাগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।’
চীনের বাইরে ভারতই এখন রাশিয়ার তেলের সবচয়ে বড় ক্রেতা।
বিশ্বের শীর্ষ ধনী দেশগুলোর সংগঠন জি৭ এবং অস্ট্রেলিয়া মিলে রাশিয়ার তেলের দামে যে সীমা নির্ধারণ করে দেওয়ার (ক্যাপ) পরিকল্পনা করেছে তার চূড়ান্ত বিস্তারিত আগামী ৫ ডিসেম্বরের আগেই আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইয়েলেন বলেন, ‘ওই ক্যাপ আরোপ করার পর ভারত, চীন এবং রাশিয়ার ক্রুডের অন্যান্য বড় ক্রেতারা এখন মস্কোকে তেলের জন্য যে দাম দিচ্ছে তা কমিয়ে ফেলতে বাধ্য হবে।
‘দরকষাকষির মাধ্যমে রাশিয়ার তেল বিক্রি হতে চলেছে এবং ভারত, আফ্রিকা বা চীন ওই দরকষাকষি করছে দেখ আমরা খুশি হব। সব ঠিকই আছে।”
তবে রাশিয়ার তেল কিনতে হলে ভারত পশ্চিমা বীমা, আর্থিক এবং সামুদ্রিক পরিষেবাগুলো ব্যবহার করতে পারবে না বলেও জানান ইয়েলেন।
রয়র্টাসকে তিনি বলেন, ‘ভারত বা ভারতের ব্যক্তিমালিকানাধীন তেল কোম্পানিগুলো যতদিন পর্যন্ত পশ্চিমা পরিষেবা ব্যবহার করবে না ততদিন পর্যন্ত তারা যেকোনো দামে রাশিয়ার তেল কিনতে পারবে। এজন্য তাদের অন্য পরিষেবা খুঁজে নিতে হবে বা অন্য কোনো উপায় বের করতে হবে।”
তেল বিক্রি থেকে রাশিয়ার রাজস্ব আয় হ্রাস করতেই দেশটির তেলের দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার সীদ্ধান্ত হয়েছে। ইউক্রেনে আক্রমণের জেরে রাশিয়ার অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত করে দেশটিকে যু্দ্ধ বন্ধ করতে বাধ্য করতে পশ্চিমারা এই পরিকল্পনা করেছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন