দুই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিলে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার, রেড অ্যালার্ট
পুলিশের চোখে গ্যাস স্প্রে করে আদালত প্রাঙ্গন থেকে পালিয়ে যাওয়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ধরতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে তাদের ধরতে রাজধানীতে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।সীমান্ত এলাকায় নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা ব্যবস্থা।
পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গি সদস্যকে ধরিয়ে দিলে প্রত্যেকের জন্য ১০ লাখ টাকা করে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার প্রদান করা হবে।
রোববার (২০ নভেম্বর) বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় কারো গাফেলতি থাকলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অন্যদিকে সারাদেশের সকল আদালতে নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
এর আগে রাজধানীতে রেড অ্যালার্টের কথা জানায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। জঙ্গিদের গ্রেপ্তারে প্রতিটি থানা ও অন্যান্য ইউনিটকে চেকপোস্ট বসানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা রেড অ্যালার্ট জারি করেছি। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে।’
জানা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের যান থামিয়ে তল্লাশি করতে বলা হয়েছে। এরইমধ্যে পলাতক দুই জঙ্গির ছবি সব থানায় পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফীন দীপন হত্যা মামলায় আদালতে আনার পর পুলিশের চোখে-মুখে গ্যাস স্প্রে করে পালিয়ে যান নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই সদস্য।পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গি হলো-আবু সিদ্দিক সোহেল ও মইনুল হাসান শামীম। তারা দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশকে স্প্রে করে আগে থেকে প্রস্তুত একটি মোটরসাইকেলে চড়ে দ্রুত পালিয়ে যান তারা। মোটরসাইকেলের চালক ছিলেন আরেকজন।
ঘটনার পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের প্রধান হারুন আর রশীদ আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার পরপরই আমাদের গোয়েন্দা সদস্যরা আসামিদের ধরার জন্য কাজ শুরু করেছে। ঢাকার সব চেকপোস্টগুলোতে মেসেজ পাঠানো হয়েছে। আশপাশের অলিগলিতে তল্লাশি করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওইদিন তার স্ত্রী শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এমামলায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন