পারস্পরিক মেলবন্ধন সৃষ্টিতে কুবির দুই হলে মেহেদী উৎসব
শিক্ষার্থীদের মধ্যে আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্ক উন্নয়নে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে মেহেদী উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নওয়াব ফয়জুন্নেচ্ছা চৌধুরানী হল ও শেখ হাসিনা হলে।
জাতীয় বিজয় দিবস উপলক্ষে নওয়াব ফয়জুন্নেচ্ছা চৌধুরানী হল প্রশাসনের উদ্যোগে শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় এবং শেখ হাসিনা হল প্রশাসনের উদ্যোগে শনিবার (১৭ই ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে এগারোটায় হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে মেহেদী উৎসবের আয়োজন করা হয়। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা একে অপরের হাতকে রাঙিয়ে দিয়েছে মেহেদীর রঙে। এই সময নিজ নিজ হলের হাউস টিউটরগণ উপস্থিত ছিলেন।
মেহেদী উৎসবে অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার জানান, ‘নিজেদের পরিবারের বাইরে শেখ হাসিনা হল আমাদের জন্য একটি পরিবার। পরিবারের সুখ দুঃখে সবাই যেমন একসাথে থাকি, তেমনি হলের সবাই বিপদে আপদে একে অপরের পাশে থাকবো। মেহেদী উৎসবের এই উদ্যোগ আমাদের মধ্যোকার সম্পর্ক আরো দৃঢ় করবে। হল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ এত সুন্দর আয়োজন করার জন্য।’
এ বিষয়ে নওয়াব ফয়জুন্নেচ্ছা চৌধুরানী হল শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি ইসরাত জাহান জেরিন বলেন, আমাদের হলে সাধারণত প্রতিবছর ২৬ শে মার্চ প্রোগ্রাম হয়ে থাকে। কিন্তু গতবছর থেকে ১৬ই ডিসেম্বরেও আমরা প্রোগ্রামের আয়োজন করে আসছি এবং সাথে মেহেদী উৎসবের। আশা করছি ভবিষ্যতেও এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
শেখ হাসিনা হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী ফাইজা মেহেজাবিন বলেন, ‘মূলত এই মেহেদী উৎসবের উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে একতা সৃষ্টি করা। আমরা চাই হলের প্রত্যেকটি মেয়ে একে ওপরের সাথে প্রীতি বন্ধনে আবদ্ধ থাকুক। প্রভোস্ট স্যারের সহযোগিতায় এই মেলবন্ধন আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছে। ভবিষ্যতে আমরা আরো উৎসবের আয়োজন করবো যাতে শিক্ষার্থীরা অনুপ্রাণিত হয়।’
মেহেদী উৎসবের উদ্যোগ নেয়ার ব্যাপারে শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সাহেদুর রহমান বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় মহিলা হল হিসেবে শেখ হাসিনা হলের যাত্রা নতুন হওয়ায় উদ্বোধনের পর বড় কোনো অনুষ্ঠান এখনও আয়োজন করা হয়নি। এই প্রথম বিজয় দিবস উপলক্ষে কুমিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যারের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানের সুষ্ঠু আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে। মেহেদী উৎসবের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। যা মূলত হলের মেয়েরাই আয়োজন করেছে এবং অংশগ্রহণ করেছে।
মেহেদী উৎসবের উদ্যোগ নেয়ার ব্যাপারে হল প্রভোস্ট জিল্লুর রহমান বলেন, বিজয় দিবস ২০২২ উপলক্ষে আমাদের হলে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়েছে এবং পাশাপাশি মেহেদী উৎসবেরও আয়োজন করা হয়েছে। আর মেহেদী উৎসব আয়োজন করার প্রধান কারণ হচ্ছে হলে অবস্থানরত প্রতিটি শিক্ষার্থীর মধ্যকার আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটানো।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন