হলুদ ফুলে স্বপ্ন বুনছে কৃষক
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ছাড়িয়ে গেছে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা
আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে সরিষা আবাদের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। বাম্পার ফলনে লাভের আশায় হলুদ ফুলে স্বপ্ন বুনছে কৃষক। কম খরচে, অল্প পরিশ্রমে লাভ বেশি হওয়ায় সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দিগন্ত জোড়া মাঠে সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে।
কৃষকরা জানান, আমন উৎপাদনের পর প্রায় তিন মাস পড়ে থাকা পতিত জমিতে বাড়তি লাভের আসায় ব্যাপক হারে সরিষা চাষ করেছে এখানকার কৃষকরা। নদ-নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের পলি মিশ্রিত জমি সরিষা চাষের উপযোগী। সেচ, সার ও অন্যন্য খরচ কম হওয়ায় এবার সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভবনা দেখা দিয়েছে।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, জমিতে সরিষা রোপণ করা থেকে পরিপক্ব হতে সময় লাগে প্রায় দেড় থেকে দুই মাস। প্রতি বিঘা জমিতে সরিষা চাষে সবমিলিয়ে খরচ হয় দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। এক বিঘা জমিতে সরিষা উৎপাদন হয় ৫-৬ মণ। সরিষা উত্তোলন করে বিক্রির টাকা দিয়ে একই জমিতে বোরো ধান আবাদ করবেন চাষীরা।
উপজেলার পাইকের ছড়া ইউনিয়নের কৃষক নজরুল ইসলাম, ইসমাইল হোসেন ও আব্দুল জলিল জানান, আমরা এবার আড়াই বিঘা করে সরিষা চাষ করেছি আবাদ ভাল হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুল থাকলে সরিষায় ভাল লাভ করতে পারব। পাশাপাশি খাবার তেলের চাহিদাও মিটবে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে ২ হাজার ২৭০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল। চাষ হয়েছে ২ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে। কৃষি প্রনোদনার আওতায় প্রত্যেককে ১ কেজি করে ২ হাজার ৪৫০ জন কৃষককে সরিষার বীজ প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুজন কুমার ভৌমিক জানান, সরিষা মূলত একটি তেল ও মসলা জাতীয় ফসল। সরিষার তেলের পুষ্টিগুন অনেক বেশী। অধিক ফলন পেতে কৃষকদের নানা পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাগণ সার্বক্ষণিক কৃষকদের সাথে মাঠে যোগাযোগ রাখছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন