যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় গুলির ঘটনায় জড়িত হামলাকারী নিহত: বিবিসি

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি নাচের স্টুডিওতে গুলির ঘটনায় জড়িত হামলাকারী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ৭২ বছর বয়সী হামলাকারীর নাম হু ক্যানন ট্র্যান। খবর বিবিসির।

পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী একটি সাদা রঙের ভ্যানের মধ্যে নিজেই নিজেকে গুলি করেছে। এর আগে রোববার ওই ভ্যানটিকে ঘিরে রেখেছিল পুলিশ। এ ঘটনায় আর কোনো সন্দেহভাজন নেই বলে জানানো হয়েছে।

সাদা রঙের ভ্যানটিতে চুরি হয়ে যাওয়া নম্বর প্লেট ব্যবহার করা হয়েছিল বলে ধারণা করছে পুলিশ।গোয়েন্দারা এখনো হামলার কোনো কারণ খুজে বের করতে পারেনি। তারা ট্র্যানের মানসিক অবস্থা এবং পূর্ববর্তী অপরাধের ইতিহাস খতিয়ে দেখছে।
হামলায় কতগুলো বন্দুক ব্যবহার করা হয়েছিল তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে পুলিশ একটি সেমি-অটোমেটিক পিস্তল ও একটি হ্যান্ডগান উদ্ধার করেছে।

এরমধ্যে একটি অস্ত্র ক্যালিফোর্নিয়ায় বৈধ নয় বলে জানাচ্ছে পুলিশ। তবে আরও তদন্ত দরকার বলে মনে করে তারা। হামলায় আহত ১০ জনের মধ্যে সাতজন এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছে।

হামলাকারী ট্র্যান আরও বেশি মানুষকে মারতে চেয়েছিলো বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে হতাহতদের বয়স সম্পর্কে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা সবাই ৫০ বছরের বেশি বয়সী।

বর্তমান সময়ে বন্দুক হামলা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে একটি আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন।এদিকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, মনটারি পার্কে এই গুলির ঘটনা তদন্ত করতে সব ধরণের কেন্দ্রীয় সহায়তা দেওয়া হবে।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এশিয়ান-আমেরিকান, স্থানীয় হাওয়াইয়ান ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সম্প্রদায়ভুক্তরা এ ঘটনায় বেশি আঘাত পেয়েছে। কারণ তারা ২২ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া চন্দ্রবর্ষ উদযাপন করছিল।মনটেরি পার্ক এলাকা লস এইঞ্জেলেস থেকে ১১ কিলোমিটার পূর্ব দিকে অবস্থিত। এই এলাকায় প্রায় ৬০ হাজার বাসিন্দা রয়েছে যার অন্তত ৬৫ শতাংশই এশিয়ান।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, এই হামলার কারণ সম্পর্কে আমরা এখনো তেমন কিছু যদিও জানি না। তবে আমরা জানি যে, অনেক পরিবার আজ রাতে শোক পালন করছে, অথবা প্রার্থনা করছে যাতে তাদের আপনজনেরা দ্রুত সেরে উঠে।
মনটেরি পার্কের মেয়র হেনরি লো বলেন, আমাদের কাছে হতাহতদের সেরে উঠতে, তাদের পরিবার এবং স্বজনদের শোক কাটিয়ে উঠতে যেসব সহযোগিতা প্রয়োজন সে সবই অগ্রাধিকার পাবে।