সার কারখানা স্থাপন ও চিনি শিল্পে জাপানি অর্থায়নে আগ্রহ
বাংলাদেশের আশুগঞ্জে ঘোড়াশাল সার কারখানার আদলে আরেকটি সার কারখানা স্থাপন ও চিনি শিল্পে অর্থায়নে আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন (JBIC)। এছাড়া, ইলেক্ট্রিক মিটার ও অটোমোবাইলসহ অন্যান্যখাতেও তারা অর্থায়নে আগ্রহী।
শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এমপি এর সাথে JBIC এর গভর্ণর হায়াশি নবুমিতসু (Mr. Hayashi Nobumitsu) এর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাতকালে এ আগ্রহ ব্যক্ত করেন। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন জেবিক গভর্ণরের মুখ্য সচিব এবং উপদেষ্টা ওডিএ মাসাহিরো, জেবিক প্রতিনিধি নাকানো মুতসুমি, কুড়িহারা তশিহিকো প্রমুখ।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারী) রাজধানীর মতিঝিলে শিল্পমন্ত্রীর অফিস কক্ষ এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো: আরিফুর রহমান অপু, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) চেয়ারম্যান মো: সাইদুর রহমান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ ফয়েজুল আমীন, যুগ্মসচিব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন আহমেদ, মু: আনোয়ারুল আলম, মো: আব্দুল ওয়াহেদ, উপসচিব শরীফ মো: মাসুদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, জাপান বিভিন্নভাবে আমাদের কৃষি ও শিল্পখাতে সাহায্য করছে। সার কারখানা স্থাপনে এবং প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজের সাথে যৌথভাবে মিতসুবিশি গাড়ি সংযোজনে আমরা একযোগে কাজ করছি। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানিজ ইকোনমিক জোন করেছি।
তিনি বলেন, আমরা চিনি শিল্পকে আধুনিকায়নের চেষ্টা করছি। চিনিকলসমূহের অধীনে প্রচুর পরিমাণে ভূমি রয়েছে। আমরা কৃষি ভিত্তিক খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপনে আগ্রহী। আমাদের লাভজনক প্রতিষ্ঠান কেরু এন্ড কোম্পানি লিমিটেডে দ্বিতীয় একটি ইউনিট স্থাপনে কাজ করছি। JBIC এ সকল বিষয়ে অর্থায়ন করতে পারে। আমাদের দরকার অর্থায়ন, অটোমেশন, আধুনিক যন্ত্রপাতি ইত্যাদি।
এ সকল ক্ষেত্রে জাপানি অর্থায়নে জি টু জি বা দ্বি-পক্ষীয় চুক্তি যৌথ বিনিয়োগ বাস্তবায়নের জন্য শিল্পমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশা প্রদান করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন