প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে অব্যাহত গণতন্ত্রের কারণেই
রাষ্ট্রপতির সম্মানজনক বিদায় ও নতুন রাষ্ট্রপতির শপথ গ্রহণ সম্ভব হয়েছে : তথ্যমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অব্যাহত গণতন্ত্রের কারণেই একজন সফল রাষ্ট্রপতির সম্মানজনক বিদায় ও নতুন রাষ্ট্রপতির শপথ গ্রহণ সম্ভব হয়েছে বলেছেন, তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদ উত্তর শুভেচ্ছা বিনিময় ও সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনাকালে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, আজকে বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন শপথ গ্রহণ করেছেন এবং একইসাথে ২১তম রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ বিদায় নিয়েছেন। দেশের ইতিহাসে এই প্রথম একজন রাষ্ট্রপতি ১০ বছর সম্মানের সাথে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করার পর বিদায় নিয়েছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্রের চর্চা অব্যাহত আছে বিধায় এটি সম্ভবপর হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গণতন্ত্রকে নসাৎ করার জন্য গত সোয়া ১৪ বছরে বহু ষড়যন্ত্র হয়েছে, নির্বাচন ভন্ডুল করার অপচেষ্টা হয়েছে। নির্বাচন ভন্ডুল করে গণতন্ত্রের চর্চাকে ব্যাহত করা, বিশেষ ধরণের সরকার আনার অনেক অপচেষ্টা হয়েছে, এখনো অব্যাহত আছে। কিন্তু আমাদের দেশের ইতিহাসে একজন রাষ্ট্রপতি ১০টি বছর অত্যন্ত সম্মানের সাথে দায়িত্ব পালনের পর বর্ণাঢ্যভাবে তাকে আমরা বিদায় জানাতে সক্ষম হয়েছি। আমি মনে করি এতে গণতন্ত্রেরই বিজয় হয়েছে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার কারণেই তা সম্ভবপর হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী এ সময় নতুন রাষ্ট্রপতির জীবনের ওপর আলোকপাত করে বলেন, ‘মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন একজন প্রাজ্ঞ, বিজ্ঞ, বিচক্ষণ মানুষ। তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ইতিপূর্বে পালন করেছেন। তিনি জেলা জজ, দুর্নীতি দমন কমিশনার, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করেছেন। সব ক্ষেত্রে তিনি তার যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছেন। একইসাথে তিনি মুক্তিযোদ্ধা এবং ’৭৫ এর পরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের মর্মান্তিক ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে তিনি কারাবরণ করেছেন, পদ্মা সেতু থেকে যখন বিশ্বব্যাংক মুখ ফিরিয়ে নিলো তখন তিনি দেশের পক্ষে অত্যন্ত প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, যিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে আজকে শপথ গ্রহণ করেছেন, তিনি অত্যন্ত যোগ্যতার সাথে বিচক্ষণতার সাথে বিগত রাষ্ট্রপতির মতো জনবান্ধব রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
সাংবাদিকরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাষ্ট্রপতির ভূমিকা বিষয়ে জানতে চাইলে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সেখানে সরকারের ভূমিকা গৌণ। সরকার শুধু ফ্যাসিলেটেটরের ভূমিকা পালন করে। এমন কি তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি দপ্তর এবং তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের চাকরি নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত হয়। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে সফলভাবে বেশ কয়েকটি নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছে এবং সামনে মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনগুলো নিয়ে কোনো প্রশ্ন আসে নাই। নির্বাচন কমিশন নিজেই গাইবান্ধার নির্বাচন বাতিল করেছিলো, যদিওবা সেই বাতিল প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন আছে। কিন্তু এরপরও নির্বাচন কমিশনই বাতিল করেছিলো। অর্থাৎ তারা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে এবং দৃঢ়তার সাথে দায়িত্ব পালন করছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন