আন্ধারমানিক’ পত্রিকার অফিসের উঠানে স্মৃতিস্বরুপ বটগাছ রোপন করলেন কবি টিএম মনোয়ার হোসেন

‘আন্ধারমানিক’ কমিউনিটি পত্রিকা অফিস দর্শনে গিয়ে স্মৃতিস্বরুপ একটি বটগাছ রোপন করলেন গাইবান্ধার পলাশবাড়ী সরকারি কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী কবি-কথাসাহিত্যিক টিএম মনোয়ার হোসেন।

আঁধারে মানিক্যের সন্ধান ‘আন্ধারমানিক’ নামে একটি উপক‚লীয় কমিউনিটি পত্রিকা গত ২০১৯ সালের ১লা মে তারিখে যাত্রা শুরু করে। উপক‚লীয় পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাতলা গ্রামের কামাল উদ্দিন রাঢ়ির বাড়ী থেকে প্রকাশিত হয়। ওই গ্রামের জেলে মো. কামাল উদ্দিন রাঢ়ি ও মাতা মোছা. হাসিনা বেগম দম্পতির ছেলে ‘আন্ধারমানিক’ কমিউনিটি পত্রিকার সম্পাদক মো. হাসান পারভেজ। তিনি পেশায় একজন জেলে এবং ইটভাটার শ্রমিক ছিলেন। মেধা থাকলেও টাকার অভাবে ১৯৯৬ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারেননি। পরবর্তীতে তিনি ২০১৫ সালে এসএসসি এবং ২০১৭ সালে এইচএসসি পাশ করেন। তিনি ওই এলাকার মানুষের দুর্দশার- দুঃস্বপ্নসহ সুবিধা-অসুবিধার কথাগুলো হাতে লিখে পত্রিকাটিতে প্রকাশ করছেন।

এরই মধ্যে তাঁর সাথে দেখা হয় বরগুনা জেলার অনুসন্ধানি সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম মন্টু-এর সাথে। তিনি তাঁকে পত্রিকাটি এভাবে চালাতে বেশ উৎসাহ যুগিয়েছেন। এরপর ২০২১ সালে ম্যাগাজিন ইত্যাদিতে তাঁর লেখা পত্রিকাটি উপস্থাপন করেন হানিফ সংকেত। ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে প্রচারের পর সম্প্রতি তাঁর দুই হাতের লেখা আন্ধারমানিক পত্রিকা এবং তাঁর জীবন কাহিনী নিয়ে এদেশে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলসহ জাতীয়-আঞ্চলিক পত্রিকায় প্রকাশের স্থান পেয়েছে। তিনি ওই ইউনিয়নের ফতেপুর মৌজায় ৭ শতাংশ জমি ক্রয় করে ‘আন্ধারমানিক’ পত্রিকার সম্পাদক হাসান পারভেজ তাঁর পত্রিকা অফিস এবং বাড়ী করে বসবাস করছেন।
সম্প্রতি ওই এলাকা ভ্রমণের অংশ হিসেবে পত্রিকা অফিস দর্শনে গিয়ে ‘আন্ধারমানিক’ কমিউনিটি পত্রিকার অফিসের উঠানে স্মৃতি¯^রূপ একটি বটগাছ রোপন করলেন গাইবান্ধার কবি-কথাসাহিত্যিক টিএম মনোয়ার হোসেন।

গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের তরণীপাড়া গ্রামের মরহুম বদিউজ্জামান ও মাতা মরহুমা মনোয়ারা বেগম দম্পতির সন্তান কবি টিএম মনোয়ার হোসেন। পলাশবাড়ী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী। তিনি পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন পরিচালিত ‘কালেক্টরেট আদর্শ শিক্ষা নিকেতন’ এ মাধ্যমিক শাখায় বিজ্ঞান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি এ যাবৎ ১৫টি বই লিখেছেন। লেখার পাশাপাশি তিনি শিক্ষকতা, সাহিত্য চর্চার সাথে গানও লিখছেন। এ পর্যন্ত আধুনিক, পল্লীগীতি, ভাওয়াইয়া, বিচ্ছেদ, বাউল ও দেশের গান মিলে প্রায় ২৫০টিরও বেশি গান রচনা করেছেন।