গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বজ্রপাত সহনীয় কৃষক ছাউনি

বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে পৃথিবী তার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। দিন দিন বেড়েই চলছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। যত্রতত্র বসতবাড়ি নির্মাণসহ নানাবিধ কারনে উজার হচ্ছে গাছপালা। সে কারণে বজ্রপাতের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শক্রমে নির্মাণ করা হচ্ছে বজ্রপাত সহনীয় কৃষক ছাউনি।

ইতিমধ্যে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের ফতেখাঁ গ্রামের দোলার মাঝে রাস্তার মাথায় নির্মাণ করা হয়েছে কৃষক ছাউনি। স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীর বিশেষ বরাদ্দের অর্থায়নে কৃষক ছাউনি নির্মাণ করা হয়। ব্যতিক্রম এই উদ্যোগটি ব্যাপক সারা জাগিয়েছে সকলের মাঝে।
সোনারায় ইউনিয়নের ফতেখাঁ গ্রামের কৃষি শ্রমিক ফরমান আলী জানান, রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে দিনের পর দিন মাঠে ময়দানে কাজ করতে হয়। বিশাল এলাকা জুড়ে গাছপালা বিহীন দোলার মাঝে কাজ করার সময় বৃষ্টি বাদল দেখা দিলে কোথাও আশ্রয় নেওয়ার মত জায়গা পাওয়া যায় না। এছাড়া বজ্রপাতের সময় মৃত্যুর ঝুকি দেখা দেয়। সে কারনে এমপি শামীম এই ছাউনি তৈরি করে দিয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল করিম জানান, এটি যুগোপযোগি একটি উদ্যোগ। বেশ কয়েক বছর ধরে বজ্রপাতের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেছে। সে কারনে মাঠে ময়দানে কাজ করার সময় অনেকের মৃত্যু হয়েছে। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বজ্রপাতের সময় গাছাপালা ও ঘরের মধ্যে আশ্রয় নিলে মৃত্যুর সম্ভাবনা অনেক কম। সে কারনে সাংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়রী স্যারের অর্থায়নে বজ্রপাত সহনীয় কৃষক ছাউনি নির্মাণ করা হয়েছে। এতে মাঠে ময়দানে কাজ করার সময় কৃষি শ্রমিকরা বজ্রপাত দেখা দিলে ওই ছাউনির নিচে আশ্রয় নিতে পারবে।

সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী জানান, বজ্রপাত সহনীয় কৃষক ছাউনি নির্মাণের বিষয়টি কৃষি অধিদপ্তরের একটি চমৎকার পরামর্শ। গত বছর তৎকালিন উপজেলা কৃষি অফিসারের পরামর্শক্রমে কৃষক ছাউনি নির্মাণ করা হয়েছিল। এতে করে অনেক উপকৃত হয়েছে কৃষক ও শ্রমিকরা। সে কারনে বজ্রপাতের সময় দোলার মাঝে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে এটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দোলার মাঝে কাজ করার সময় কৃষক ও শ্রমিকদের বজ্রপাতের সময় সহায়ক হিসেবে কাজ করবে এই কৃষক ছাউনি।