গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে পরিচালকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী পিটিয়ে যখমের অভিযোগে মানববন্ধন

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার বকশীগঞ্জ তছলিম উদ্দিন বিদ্যা নিকেতনের পরিচালক কর্তৃক দুই শিক্ষার্থীকে বেধরক মারপিট করার অভিযোগ ওঠেছে। বিষয়টি নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে অভিভাবক ও এলাকাবাসী। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থী নির্যাতনকারী পরিচালক রুহুল আমিনের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

রোববার সকাল ১১টার দিকে সাদুল্লাপুর-ধাপেরহাট সড়কের বকশীগঞ্জে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। এসময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ সহস্রাধিক মানুষ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে। এরইমধ্যে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে সাদুল্লাপুর থানা ও ধাপেরহাট ফাঁড়ি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এসময় পুলিশ মানববন্ধন কর্মসূচি প্রতিহত করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ রানা, শাহীন মিয়া, সজিব মিয়া, আবুল কালাম আজাদ, রেজাউল করিম, সাইফুল ইসলাম, নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী সুমাইয়া মিম ও সাব্বির হোসাইন জিম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বকশীগঞ্জ তছলিম উদ্দিন বিদ্যা নিকেতনের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ও নিজপাড়া গ্রামের সজিব মিয়ার ছেলে সাব্বির হোসাইন জিম ২৮ মে দুপুরে পাঠগ্রহণ করার পর টিফিন খাওয়ার জন্য বাহিরে যায়। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক রুহুল আমিন পরবর্তীতে জিমকে ডেকে অফিস কক্ষে নেয়। টিফিন খাওয়ার জন্য কেন বাহিরে যাওয়া হলো এ নিয়ে জিমকে বেধরক পিটিয়ে যখম করে। এরপর গুরুতর আহত জিমকে উদ্ধার করে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান স্বজনরা।

এদিকে; অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া মিমকে শ্রেণি কক্ষের দরজা খোলার অপরাধে লোহার রড দিয়ে মারপিট করেন পরিচালক রুহুল আমিন। এছাড়াও বিভিন্ন সময় ওই পরিচালকের হাতে আরো একাধিক শিক্ষার্থী নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

অপরদিকে; অভিযুক্ত রুহুল আমিনের বিচার দাবিতে যেন কোন কর্মসূচি পালন না করা হয়, সে ব্যাপারে অভিভাকদের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করা হয়। এলাকাবাসী সকল প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে ন্যায় বিচার দাবিতে মানববন্ধন পালন করেন।

এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ তছলিম উদ্দিন বিদ্যা নিকেতনের পরিচালক রুহুল আমিন বলেন, ওই শিক্ষার্থীরা প্রাতিষ্ঠানিক নৈতিকতা না মেনে চলায় তাদের কিছুটা শাসন করা হয়েছে। তবে লোহার রড দিয়ে মারপিট করা হয়নি।