২ লাখ টাকা দিয়ে নিবন্ধিত হতে পারবেন বেসরকারি হজযাত্রীরা
আগামী বছর হজে যেতে বুধবার (১৫ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে হজযাত্রী নিবন্ধন। বেসরকারি ব্যবস্থাপনার এজেন্সির হজযাত্রীরা ২ লাখ ৫ হাজার টাকা দিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
অন্যদিকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজ প্যাকেজ ঘোষণার সময় হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিমও এ তথ্য জানান।
হজ প্যাকেজের বাকি টাকা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জমা দেওয়া যাবে বলেও জানিয়েছেন হাব সভাপতি।
হজযাত্রী নিবন্ধনের শেষ সময় ১০ ডিসেম্বর। গত ৯ নভেম্বর ২০২৪ সালের হজের নিবন্ধন বিজ্ঞপ্তিতে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার (হজ এজেন্সি) হজযাত্রীরা ১৫ নভেম্বর থেকে নিবন্ধনের টাকা জমা দিতে পারবেন। নিবন্ধনের টাকা জমা নেওয়া হবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধিত সব হজযাত্রী এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সর্বশেষ নিবন্ধনের ক্রমিক ৯১০০৯৬।
সরকারিভাবে আগামী বছর হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। বিশেষ হজ প্যাকেজের মধ্যমে হজ পালনে খরচ হবে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা।
অন্যদিকে বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে সাধারণ প্যাকেজে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ হবে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা। বিশেষ প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হবে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৩০০ টাকা।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, এজেন্সি এবং এজেন্সির মাধ্যমে হজে গমনেচ্ছু সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ২০২৪ সালে হজে গমনের জন্য বিমানের ভাড়া ও সৌদি আরব পর্বের ব্যয় বাবদ সর্বনিম্ন ২ লাখ ৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে হজের নিবন্ধন করা যাবে। সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে প্রাক-নিবন্ধন স্থানান্তর অব্যাহত থাকবে।
অন্যদিকে দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে হাব সভাপতি বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রত্যেক হজযাত্রী ন্যূনতম ২ লাখ ৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধিত হতে পারবেন। হজযাত্রীকে হজ প্যাকেজের অবশিষ্ট পুরো অর্থ আগামী বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অবশ্যই নিজ নিজ এজেন্সির ব্যাংক হিসাবে জমা করে বা এজেন্সির অফিসে জমা দিয়ে মানি রিসিট গ্রহণ ও সংরক্ষণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, হজ এজেন্সির অ্যাকাউন্টে পুরো টাকা জমা দেওয়া ছাড়া কোনো হজযাত্রী মধ্যস্বত্বভোগী দালাল কিংবা ফড়িয়াদের হাতে টাকা দিলে প্রতারিত হতে পারেন। হজযাত্রীরা মধ্যস্বত্বভোগী বা দালালদের সঙ্গে হজে যাওয়ার জন্য কোনো আর্থিক লেনদেন করে প্রতারিত হলে সরকার কিংবা হাব বা হজ এজেন্সি দায়ী থাকবে না।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন