নৌকার পক্ষে না থাকায় ও ঈগলের পক্ষে মিছিলে অংশগ্রহণ করায় এসকেন্দার খাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাদারীপুর-৩ আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম। শনিবার সন্ধ্যায় কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তাহমিনা বেগম এ অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে তাহমিনা বেগম বলেন, নৌকা প্রার্থী এবং তার কর্মী ও সমর্থকরা নির্বাচনে আচরণ বিধি তোয়াক্কা না করে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে এবং আমার কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে হুমকি, হামলা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় নৌকার প্রার্থী আবদুস সোবহান গোলাপের এজেন্ট লক্ষিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক ব্যাপারীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দ্বারা আমার কর্মী এসকেন্দার খাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীর তীব্র সমালোচনা করে তাহমিনা বেগম আরও বলেন, নৌকা প্রতীকের সমর্থক ও কর্মীরা প্রথম থেকেই সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে ভোটারদের মধ্যে ভীতসন্ত্রস্ত পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা করে যাচ্ছে। প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর থেকে নৌকার সমর্থকরা নির্বাচনের আচরণবিধি ভঙ্গ করে মিছিল করে এবং বিভিন্ন এলাকায় এক ভীতিকর ও ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

নৌকার মিছিল থেকে ঘোষণা করা হয়, যদি কেউ নৌকার বিপক্ষে নির্বাচন করে তাহলে তাদের ওপর হামলা করা হবে এবং এলাকায় থাকতে পারবে না। এ ছাড়া সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচার করা হয় নৌকার বাহিরে গেলে কেউ এলাকায় থাকতে পারবে না। ২ হাজার লঠি বৈঠা তৈরি করা হয়েছে, নৌকাবিরোধীদের এলাকা ছাড়া করার জন্য। তাদের এ ধরণের বক্তব্যে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

পুলিশকে নৌকার কর্মী উল্লেখ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম বলেন, ‘গত তিন দিনে আমাদের মিছিলে বোমা হামলা, নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা হয়েছে। পুলিশ সাধারণ নিরাপরাধ দুজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে তাদের দায় এড়িয়ে গেছে। মূল আসামিরা চিহ্নিত হলেও তাদের ধরছে না পুলিশ। আমরা কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা এখনো নেওয়া হয়নি। ওসি নৌকার হয়ে কাজ করছেন।’

স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নৌকার প্রার্থী আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, ‘এসকেন্দার খা হত্যার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে তিনি (স্বতন্ত্র প্রার্থী) নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছে।’