সিলেটের বাজার গুলোতে রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ে শঙ্কা
প্রতি বছরের ন্যায় সিলেটে এ বছরেও রমজানের আগ মুহুর্তে পাইকারী ও খুচরা বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষ সিলেটের পাইকারি বাজার নগরীর কালিঘাট বাজারে যদি দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পেলে, খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়ে। গোঠা সিলেট জুড়ে দেখা দেয় অস্থিরতা।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি খবর যখন ক্রেতাদের কানে পৌছে, তখন ক্রেতারাও হুমড়ি খেয়ে কালিঘাট তথা আশ পাশে বাজারে এসে বেশি দামেও বাজার করতে থাকনে। তখন বাজারে অতিরিক্ত ক্রেতাদের আগমনে সরকারের বেধে দেওয়া দামের চেয়ে তিন গুন দামে ব্যবসায়ীরা মালামাল বিক্রি করতে থাকেন।
সাধারণত রমজানের শুরুতে সিলেটে প্রায় প্রতিবছরই ভোগ্যপণ্যের বাজারে এক ধরনের অস্থিরতা লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে- ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, ডাল, খেজুর ও পেঁয়াজের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এসময় দামও বেশ বেড়ে যায়।
কিন্তু এবছর দেখা যাচ্ছে, রমজান শুরু হওয়ার বেশ আগে ভাগেই বাজারে এসব পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। অথচ রমজানে দ্রব্যমূল্য যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেজন্য গত জানুয়ারিতে চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণ করেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেয় সরকার।
প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইং চাল, চিনি, তেল ও খেজুরের আমদানি কর কমিয়েও দেয়া হয়। কিন্তু এরপর প্রায় তিন সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও ভোক্তারা এর কোনো সুফল পাননি। উল্টো বাড়তে দেখা গেছে চিনি ও খেজুরের দাম।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের মূল্য ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধির পাশাপাশি ঋণপত্র (এলসি) খোলা নিয়ে নানান জটিলতার কারণে সার্বিক ভাবে পণ্যের আমদানি ব্যয় বেড়েছে। ফলে পণ্যের দামেও সেটির প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন