নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশনা তারেক রহমানের
পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জনগণের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের মাধ্যমে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে দলের তৃণমূল নেতাদের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দলের রংপুর সাংগঠনিক বিভাগের অধীন জেলাগুলোর নেতাকর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি মতবিনিময় সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এরপর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। দায়িত্ব গ্রহণ করে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশনসহ দেশের গণতান্ত্রিক-সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করা হয়েছে উল্লেখ করে একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের কথা জানায় অন্তর্বর্তী সরকার। এর প্রেক্ষিতে বিএনপির পক্ষ থেকে রাষ্ট্রকাঠামোর প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুততম সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানানো হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারকে এ কাজে কোনো চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে না দিয়ে ‘যৌক্তিক’ সময় দেয়ার কথা জানায় দলটি। এমন প্রেক্ষাপটে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রস্তুতি এবং দলের সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়াতে জেলা নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক মতবিনিময় শুরু করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রংপুর বিভাগের মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু করলেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন। এ সময় তারেক রহমান বলেন, দলের নাম ভাঙিয়ে কিছু দুষ্কৃতিকারী দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তাদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিএনপিতে কোনো দুষ্কৃতিকারীর ঠাঁই নেই।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিরা মূলত বর্তমান সরকারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার ভাবনা, নির্বাচন নিয়ে তাদের চিন্তাভাবনা সম্পর্কে মতবিনিময় করেন।
তারা বলেছেন, এই সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর ব্যাপারে তাদের পূর্ণ সমর্থন আছে। ভবিষ্যতেও এই সমর্থন থাকবে। বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে যেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংস্কার এবং নির্বাচন প্রসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ব্যাপকভিত্তিক সংলাপ শুরুর ঘোষণা দেয়া হয় সেই ব্যাপারে তারা অনুরোধ করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে বিএনপি মহাসচিবসহ নেতাদের বহন করা গাড়ি বেইলি রোডে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করে।
প্রতিনিধি দলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, প্রায় সোয়া ঘণ্টার বৈঠকে আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা আশা করি অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার তাদের আন্তরিকতা ও দেশপ্রেম এবং যোগ্যতা দিয়ে খুব দ্রুত দেশকে স্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে আসতে পারবেন এবং নির্বাচনের দিকে যাবেন। প্রয়োজনীয় সংস্কারসমূহ তারা করবেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন