ভারতের জনগণের উদ্দেশে ১৪৫ নাগরিকের বিবৃতি

ভারতের জনগণের উদ্দেশে ১৪৫ বাংলাদেশি নাগরিক বিবৃতি দিয়েছেন। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ‘ভারতের জনগণের কাছে আমাদের আবেদন’ শিরোনামে গণমাধ্যমে এই বিবৃতি পাঠানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা এমন এক সংকটপূর্ণ সময়ে অবস্থান করছি, যখন ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক শোচনীয় অবস্থায় এবং কিছু ভারতীয় উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির ক্রমাগত উসকানি এ অঞ্চলের জনগণের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে চিড় ধরাতে চাইছে।

ভারতের জনগণ ও ভারত সরকারকে আমরা কখনোই এক করে দেখি না। আমরা জানি, ভারতের জনগণও হিন্দুত্ববাদী শক্তি ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়ছে।

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের শাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন লড়াই করে তার পতন ঘটিয়েছি আমরা। জুলাই-আগস্টের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের সময় আপনারা আমাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে কর্মসূচি পালন করেছেন। আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আপনাদের আর আপনাদের আন্দোলনে আমাদের সংহতি প্রকাশের ধারাবাহিকতা অনেক দিনের।

শাসকগোষ্ঠীই সাম্প্রদায়িকতার হাতিয়ার কাজে লাগিয়েছে জানিয়ে বিবৃতিদাতারা বলেন, সাম্প্রদায়িকতা ভারতীয় উপমহাদেশের বড় সমস্যা। সাম্প্রদায়িকতা মানুষে মানুষে বিভাজন ঘটায়, ধর্মের ভিত্তিতে তৈরি করে বিভেদ। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কাজের অধিকার, নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, নারীর প্রতি সহিংসতা এবং জনজীবনের আরও অনেক জলজ্যান্ত সমস্যা আড়াল করার জন্য উপমহাদেশের প্রত্যেক শাসকগোষ্ঠীই সাম্প্রদায়িকতার হাতিয়ার কাজে লাগিয়েছে। তারা এই কৌশল খাটিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ ও সংখ্যালঘু উভয় জনগোষ্ঠীর ভোট পাওয়াটা নিশ্চিত করতে চায়। বিশেষ করে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কালে সংখ্যালঘু জনগণের ওপর হামলার ঘটনা বারবার ঘটতে দেখা যায়।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সারা বাংলাদেশে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা, জমি দখল, মন্দির ভাঙচুর ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে এবং ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর সারা দেশে হিন্দু জনগোষ্ঠীর ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও মন্দিরে মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের প্রেরণায় অনেক রাজনৈতিক দল হিন্দু ঘরবাড়ি ও মন্দিরা পাহারায় এগিয়ে আসে এবং সম্প্রীতির নতুন নতুন নজির স্থাপন করে। এ ছাড়া ভারতের জাতীয় পতাকা মাড়ানোর ঘটনায়ও এ দেশের গণতন্ত্রমনা মানুষ প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু ভারতের অনেকগুলো সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশ সম্পর্কে আসল তথ্য প্রচার করেনি, এখনো করছে না।

সহকারী হাইকমিশনে আক্রমণের বিষয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারতের এক সংবাদমাধ্যম ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা রুটে একটি দুর্ঘটনাকে পরিকল্পিত হামলা বলে প্রচার করে। সেই প্রচারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে আক্রমণ হয়, বাংলাদেশের পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলা হয়। সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় ভারত সরকার দুঃখ প্রকাশ করলেও মিথ্যা প্রচারণা বন্ধের কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি। আমরা চাই, বাংলাদেশের প্রকৃত ঘটনা যথাযথভাবে দেখানো হোক। এ ধরনের প্রচারণা থেকে যেকোনো দেশেই লাভবান হয় সাম্প্রদায়িক শক্তি, লাভবান হয় শাসকগোষ্ঠী।

সম্প্রতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার হওয়ার পর ভারত সরকার যে ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে, তাতে অবাক করেছে। চিন্ময় কৃষ্ণের বিচার পাওয়ার অধিকারকে আমরা সমর্থন করি, সেটা সবারই আছে। কিন্তু ভারত সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেভাবে তড়িঘড়ি তার পক্ষে বিবৃতি দিল, তা বিস্ময়কর। তাকে আদালতে উপস্থিত করার দিন ব্যাপক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়। এ দেশের জনমানুষের সম্মিলিত চেষ্টায় এই ঘটনার অজুহাতে বড় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বাংলাদেশের হিন্দু জনগোষ্ঠী বরাবরই অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে। এ দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে এবং সব ধরনের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে হিন্দু জনগোষ্ঠীর ভূমিকা উজ্জ্বল। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানেও হিন্দু জনসাধারণের অনেকেই লড়াইয়ে শামিল হয়েছেন, প্রাণ দিয়েছেন।

দুই দেশের মধ্যে কোনো তফাত নেই উল্লেখ করে বিবৃতিদাতারা বলেন, অনেক ভারতীয় প্রচারমাধ্যম এই গণঅভ্যুত্থানকে ইসলামি মৌলবাদের বিজয় বলে অভিহিত করেছে। বাংলাদেশের হিন্দুরা তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। লড়াইয়ের মধ্যে গড়ে ওঠা বাঁধনটা এ দেশে এখনো অটুট আছে। এ দেশে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ড নেই এমন নয়, কিন্তু তাবৎ জনগোষ্ঠীর ঐক্যই তা রোধ করার একমাত্র উপায়। আমাদের দুই দেশের জনগণের সমস্যার গোড়ায় একই জিনিস। এই সমস্যার সমাধান সাম্প্রদায়িক সংঘাতে বা সংঘর্ষে পাওয়া যাবে না এবং হিন্দু-মুসলমান উত্তেজনায়ও এর সমাধান নিহিত নেই। সাধারণ জনগণের জীবন-সংকট বিচার করলে দুই দেশের মধ্যে মূলত কোনো পার্থক্য নেই।

ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নাগরিকরা বলেন, আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক প্রবণতা ও শক্তির বিরুদ্ধে আমরা লড়ব, আপনারাও আপনাদের দেশে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন। আপনাদের দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের আকাঙ্ক্ষার মর্যাদা অক্ষুণ্ন রেখে আপনারা এই চক্রান্ত প্রতিহত করবেন। এ লড়াই ভারতের বৃহৎ পুঁজির শোষণ-লুণ্ঠন আর নিপীড়ন-নির্যাতন-আধিপত্যের বিরুদ্ধে উভয় দেশের জনগণের নিরন্তর লড়াই; বিভেদ, বিদ্বেষ ও ধর্মকেন্দ্রিক স্বার্থান্বেষী চক্রান্তের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ লড়াই। এই লড়াইয়ে আমরা শেষ পর্যন্ত জয়ী হব।

১৪৫ নাগরিকের পক্ষে বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ।

বিবৃতিতে সই করেছেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ; অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান; বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সাঈদ ফেরদৌস, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. হারুন-অর-রশীদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক স্বাধীন সেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, তুহিন ওয়াদুদ, অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়; সায়ান, সংগীত শিল্পী ও মানসিক স্বাস্থ্যকর্মী; প্রীতম দাশ, কেন্দ্রীয় সদস্য, জাতীয় নাগরিক কমিটি; দীপ্তি দত্ত, শিক্ষক, প্রাচ্যকলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; সৌম্য সরকার, সহকারী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়; ড. সামিনা লুৎফা, সহযোগী অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; আলতাফ পারভেজ, লেখক ও সাংবাদিক; সারোয়ার তুষার, লেখক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সদস্য, জাতীয় নাগরিক কমিটি; আশরাফ কায়সার, গণমাধ্যমকর্মী; ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্ট; মানজুর আল মতিন, আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্ট; খোকন দাস, লেখক ও সাংবাদিক; বীথি ঘোষ, শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সংগঠক; রেহনুমা আহমেদ, লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট; গীতি আরা নাসরীন, অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; মেঘমল্লার বসু, সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা; সুব্রত সরকার, স্থপতি; সুরেশ বাসফোর, সভাপতি, হরিজন অধিকার আদায় সংগঠন; কল্লোল মোস্তফা, লেখক; জি এইচ হাবীব, অনুবাদক ও সহকারী অধ্যাপক, ইংরেজী বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়; পারভেজ আলম, লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট; মাহা মীর্জা, লেখক ও গবেষক; ডা. জয়দীপ ভট্টাচার্য, চিকিৎসক; কামার আহমাদ সাইমন, চলচ্চিত্র নির্মাতা; অনিক রায়, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক কর্মী; অমিতাভ রেজা চৌধুরী, চলচ্চিত্র নির্মাতা; কামাল চৌধুরী, অধ্যাপক, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; মোশাহিদা সুলতানা, সহযোগী অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; সায়দিয়া গুলরুখ, সাংবাদিক।

এতে আরও সই করেছেন ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্ট; সীমা দত্ত, নারীনেত্রী, সভাপতি, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র; ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য সোমা, সংস্কৃতিকর্মী, ইনচার্জ, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র; মামুন আল রশীদ, শিক্ষক, স্কলার্স ইউনিভার্সিটি; আর রাজি, শিক্ষক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়; শর্মি বড়ুয়া, প্রভাষক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; জহিরুল ইসলাম কচি, সভাপতি, বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম; ড. সিউতি সবুর, সহযোগী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি; ধ্রুব দাশ, স্বাধীন গবেষক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা; ডা. মো. আরিফ মোর্শেদ খান, সহযোগী অধ্যাপক, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, অ্যাক্টিভিস্ট; জান্নাতুল মাওয়া, আলোকচিত্রী, অ্যাক্টিভিস্ট; আসিফ মোহাম্মদ শাহান, অধ্যাপক, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ফাতেমা শুভ্রা, সহযোগী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়; ফাহমিদুল হক, লেখক-গবেষক-শিক্ষক; হাসান তৌফিক ইমাম, সহকারী অধ্যাপক, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়; অলিউর সান, শিক্ষক, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ; মনির হোসেন, শিক্ষক, বিইউবিটি; আব্দুল্লাহ্ হারুন চৌধুরী, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়; কাজলী সেহরীন ইসলাম, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; রাইয়ান রাজী, শিক্ষক, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়; জায়েদা শারমিন, অধ্যাপক, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগ, শাবিপ্রবি; শেহরীন আতাউর খান, সহকারী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়; আরাফাত রহমান, সহকারী অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; খাদিজা মিতু, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়; সিরাজাম মুনিরা, প্রভাষক, বাংলা বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়; মির্জা তাসলিমা সুলতানা, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; শেখ নাহিদ নিয়াজী, সহযোগী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ; শরমিন্দ নীলোর্মি, অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; বখতিয়ার আহমেদ, অধ্যাপক, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি; নাসির আহমেদ, শিক্ষক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়; মাহমুদুল সুমন, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে আরও আছেন সামিও শীশ, সিনিয়র রিসার্চ ফেলো, সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; রুশাদ ফরিদী, সহকারী অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; সৈয়দ নিজার আলম, সহযোগী অধ্যাপক, দর্শন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; ড. রেজওয়ানা স্নিগ্ধা, শিক্ষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; ডা. মো. আরিফ মোর্শেদ খান, সহযোগী অধ্যাপক, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, অ্যাক্টিভিস্ট; হানিয়্যুম মারিয়া খান, জ্যেষ্ঠ প্রভাষক, পরিবেশ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়; ডা. শামীম তালুকদার, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা-এমিনেন্স, সমন্বয়ক-সন্তান ও অভিভাবক ফোরাম; আফজাল হোসেন, অ্যাক্টিভিস্ট; রাফসান আহমেদ, চলচ্চিত্রকর্মী; ইমেল হক, নির্মাতা; বাকী বিল্লাহ, লেখক ও রাজনৈতিক কর্মী; অনুপম সৈকত শান্ত, লেখক ও গবেষক; রবিউল করিম নান্টু, ব্যবসায়ী ও সংগঠক; সালমান সিদ্দিকী, সভাপতি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট; ফেরদৌস আরা রুমী, কবি ও অধিকার কর্মী; মাসুদ রেজা, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন; সজীব তানভীর, স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা; লাবণী মণ্ডল, সাহিত্য সমালোচক, রাজনৈতিক কর্মী; শাহেরীন আরাফাত, সাংবাদিক; তসলিমা আকতার বিউটি, রাজনৈতিক কর্মী; ডা. নাজমুস্ সাকিব, ডেন্টাল সার্জন; জাকিয়া শিশির, মানবাধিকার কর্মী ও রাজনৈতিক কর্মী; রাশেদ শাহরিয়ার, রাজনৈতিক কর্মী।

বিবৃতিতে আরও সই করেন শহীদুল ইসলাম সবুজ, শ্রমিক নেতা ও সাধারণ সম্পাদক, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম; তানিয়াহ্ মাহমুদা তিন্নি, শিক্ষক, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; ডা. সারা আহমেদ, চিকিৎসক; আকরাম খান, চলচ্চিত্রকার; গোলাম সারওয়ার, শিক্ষক, ইতিহাস বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়; রজত হুদা, রাজনৈতিক কর্মী; মাহতাব উদ্দীন আহমেদ, গবেষক ও অ্যাক্টিভিস্ট; মারজিয়া প্রভা, অ্যাক্টিভিস্ট; কামরুজ্জামান রিপন, উন্নয়নকর্মী; অ্যাডভোকেট পলাশ কান্তি নাগ, সদস্য সচিব, রংপুর মহানগর নাগরিক কমিটি; মীর হুযাইফা আল মামদূহ, গবেষক; মোশাররফ হোসেন, প্রকৌশলী; সৈকত দে, কবি ও লেখক; ইসহাক সরকার, শিক্ষক; গোলাম সারওয়ার, সহযোগী অধ্যাপক, ইতিহাস বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়; সুদীপ্ত বিশ্বাস, লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট; দোলন প্রভা, কবি ও লেখক; তাওফিকা প্রিয়া, সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত), বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন; জাফর হোসেন, সভাপতি, নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চা; মুতাসিম আলী, কবি ও লেখক; কাজী শাহীদুল ইসলাম, নাট্যকার; বিপ্লব ভট্টাচার্য্য, আহ্বায়ক, বিপ্লবী শ্রমিক আন্দোলন; আবু রায়হান, সংস্কৃতিকর্মী; মানস নন্দী, সভাপতি, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন; মনীষা মাফরুহা, উন্নয়নকর্মী; মতিন সরকার, আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্ট; নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র; সুশান্ত সিনহা সুমন, সদস্য সচিব, গণতান্ত্রিক শ্রমিক আন্দোলন, কেন্দ্রীয় কমিটি; মাসুদ খান, সভাপতি, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চ; নাসির উদ্দীন আহম্মদ নাসু, রাজনৈতিক কর্মী; ডা. মজিবুল হক, আহ্বায়ক, হেলথ সার্ভিস ফোরাম; মাহির আহনাফ হোসেন, শিক্ষার্থী; উম্মে ফারহানা, সহকারী অধ্যাপক, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়; এহসান হাবিব, কবি ও সম্পাদক, অবরুদ্ধ সময়ের কবিতা; জানে রোমান রোজারিও তালুকদার, গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলন কর্মী; মোশরেফা মিশু, রাজনৈতিক কর্মী; তাহমিনা ইয়াসমিন নীলা, রাজনৈতিক কর্মী; অধ্যাপক কাজী ফরিদ, গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়; সরকার আজিজ, কবি; অধ্যাপক ডা. কাজী রকিবুল ইসলাম, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ; এবিএম জাকারিয়া, ব্যবসায়ী; মুসলিম বিন হাই, আইনজীবী ও সভাপতি, সচেতন অভিভাবক সমাজ; রায়হান কবির, ব্যবসায়ী; মোহাম্মদ সেলিম, আইনজীবী ও সাধারণ সম্পাদক, সচেতন অভিভাবক সমাজ; ইকবাল খান, সংস্কৃতিকর্মী; সিরাজুম মনির, ব্যবসায়ী; আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, রাজনৈতিক কর্মী; মাসুদ রানা, সমন্বয়ক, বাসদ (মার্কসবাদী); মোশাররফ হোসেন নান্নু, রাজনৈতিক কর্মী; ইকবাল কবীর জাহিদ, সাধারণ সম্পাদক, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ; আব্দুস সাত্তার, রাজনৈতিক কর্মী; ডা. তন্ময় সান্যাল, ডেন্টাল সার্জন; সুস্মিতা রায় সুপ্তি, সংস্কৃতিকর্মী; স্নেহাদ্রি চক্রবর্ত্তী, আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্ট; ডা. মহিউদ্দিন আহমদ, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও ধ্রুবজ্যোতি হোর, শিক্ষাকর্মী।