‘জুলাই আন্দোলনে’ শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরা সেই পুলিশ পরিদর্শক কারাগারে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় এক শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরা শাহবাগ থানার পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

জুলাই-আগস্টে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার যে তিন পুলিশকে মঙ্গলবার কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, আরশাদ হোসেন তাদেরই একজন বলে জানান প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ।

প্রসিকিউশনের আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আরশাদ হোসেনসহ তিন পুলিশকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর তাদের কারাগারে নেয়া হয়।

ট্রাইব্যুনালে এইদিন প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ ও গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম। শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর আব্দুস সোবহান তরফদার, আব্দুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার মইনুল করিম, সাইমুম রেজা।

গত ৩১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি চলার সময় ঢাকার নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী নাহিদুল ইসলামের মুখ চেপে ধরেন পুলিশ পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেন। পরবর্তীতে ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।

এক পর্যায়ে গত ১৮ আগস্ট শাহবাগ থানার ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

বরখাস্তের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, ‘সুশৃঙ্খল পুলিশ বাহিনীর একজন সদস্য হওয়া সত্ত্বেও তার এ ধরনের অপেশাদার কর্মকাণ্ডের ফলে পুলিশের কার্যক্রম সমন্ধে জনসম্মুখে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টিসহ পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’