খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার গুইমারায় শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ, স্কুলে সেনাবাহিনীর মহড়া দেখা গেছে! অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন অত্র প্রতিষ্টানের শিক্ষক। জেলার গুইমারা কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জসিম উদ্দিন কর্তৃক ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনা নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে অবস্থান নিয়েছেন। চলছে সেনাবাহিনীর মহড়াও।

ঘটনার বিবরনে জানা গেছে, গতকাল রোববার(২৭শে জুলাই ২০২৫) বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন উক্ত ঘটনাটি ঘটে। এছাড়া আরো কয়েকজন ছাত্রীও যৌন হয়রানির শিকার হন বলে জানা গেছে। পরে এক পাহাড়ি ছাত্রী ঘটনাটি তার মাকে জানান। সোমবার (২৮ জুলাই) সকালে ওই ছাত্রীর মা-বাবা বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে ঘটনার বিষয়ে অবহিত করেন।

প্রধান শিক্ষক তাদেরকে অভিযুক্ত শিক্ষক জসিম উদ্দিনকে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের আশ্বাস প্রদান করেন বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষকের বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে তারা বলেছেন, শিক্ষক জসিম উদ্দিন কথায় কথায় ছাত্রীদের আপত্তিকর জায়গায় বেত দিয়ে মারধর করেন এবং আদর করার নাম করে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। অভিভাবক ও অন্যান্য শিক্ষকদের কাছে অভিযোগ করলে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে।

অভিযোগ পত্রে তারা ছাত্রীদের যৌন হয়রানির দায়ে শিক্ষক জসিম উদ্দিনকে অপসারণ করার দাবি জানায়।
এদিকে উক্ত ঘটনা নিয়ে সোমবার সকালে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ভিকটিম ছাত্রীর অভিভাবকদের ডেকে মীমাংসার চেষ্টার খবর পাওয়া গেছে। তবে কোন মীমাংসা হয়েছে কিনা তা এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত জানা যায়নি।

অপরদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গুইমারা কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, রয়েছে পুলিশের উপস্থিতিও। বিদ্যালয়ে সেনাবাহিনীর এক সদস্যদের দেখা যাচ্ছে।

ঘটনার প্রতিবাদে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুুতি নিচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে বিপুল সংখ্যক সেনা সদস্যের উপস্থিতিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো: আরেফিন জুয়েল ঘটনার স্বীকার করে বলেন, অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রকৃত ঘটনা সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহনের গুইমারা থানার ওসিকে নির্দ্দেশ প্রদান করা হয়েছে।