কুড়িগ্রামে সদ্য বিবাহিত তরুণীর গলাকাটা ও রাস্তার পাশে পড়ে থাকা যুবকের মরদেহ উদ্ধার

কুড়িগ্রামের একই দিনে এক সদ্য বিবাহিত তরুণীর গলাকাটা ও রাস্তার পাশের জমিতে পড়ে থাকা এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

জেলার উলিপুর উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নে বাবার বাড়ি থেকে সদ্য বিবাহিত এক তরুণীর গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে উলিপুর থানা পুলিশ।

রোববার (১৩ আগষ্ট) সকালে পান্ডুল ইউনিয়নের তেলিপাড়া গ্রামে বাবার বাড়ির নিজ ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত তরুণী রিংকি বেগম(২০) তেলিপাড়া গ্রামের রেজাউল ইসলামের মেয়ে। তার বাবা একজন এনজিও কর্মী।

স্থানীয়রা জানায়, ৫ মাস আগে রিংকির বিয়ে হয় উলিপুরের মাঝবিল এলাকায়। স্বামী চট্রগ্রামে সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে কর্মরত রয়েছেন। রিংকি ৪ দিন আগে বাবার বাড়িতে আসে। গতকাল রাতে বাড়িতে তার দাদি, দাদা, ভাই ও সে ছিলো। অন্যন্য দিন মেয়েটার সাথে তার মা একই ঘরে ঘুমালেও গত রাতে তার মা বাবার বাড়িতে থাকায় রেংকি একাই একটি ঘরে ছিলো। সকালে ডাকাডাকি করে তার সাড়া না পাওয়া গেলে অন্য একটি দরজা দিয়ে ঢুকে মেয়েটির গলাকাটা লাশ দেখেতে পায় তার ছোট ভাই। এরপর চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন আসতে থাকে। পরে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। বৃষ্টির মধ্যে মধ্যরাতে বাথরুমের দরজা দিয়ে ঢুকে গলা কেটে এ হত্যার ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে ধারনা স্থানীয়দের।

খবর পাওয়ার সাথে উলিপুর থানা পুলিশ ও কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সিআইডি’র ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে।

দ্রুত নৃশংস এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনার কথা জানায় পুলিশ।

কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন জানান, খবর পেয়ে উলিপুর থানার পুলিশসহ পুলিশ সুপার স্যার ও আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। সিআইডি’র ফরেনসিক টিম এসেছে। আমরা দ্রুত নৃশংস এ হত্যা কান্ডের রহস্য উদঘাটন ও আসামীদের আইনে আওতায় আনার জন্য কাজ করছি।

অন্যদিকে কুড়িগ্রাম পৌরসভার নামা ভেলাকোপার একতাপাড়া এলাকা থেকে লিংকন (২০) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ।
রোববার সকালে ঐ এলাকায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত যুবক নামা ভেলাকোপার মৃত সেকেন্দার আলীর ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, সকালে রাস্তার পাশের জমিতে লিংকনের মরদেহ অর্ধেক পানিতে আর আর্ধেক শুকনো স্থানে দেখতে পেয়ে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

কুড়িগ্রাম সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আবু সাইদ সরকার জানায়, ধারনা করা হচ্ছে নিহত যুবক অতিরিক্ত মাদক সেবনের ফলে হেটে যাওয়ার সময় পানিতে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুও মামলা হবে।