খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পুকুরে ডুবে ২শিশুর মৃত্যু! স্রোতে ভেসে যাওয়া যুবকের লাশ উদ্ধার
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা দীঘিনালা উপজেলায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন, কামাল হোসেনের ছেলে ফারহান(০২) এবং নূর আলমে মেয়ে নুসরাত জাহান(১৮ মাস)।
সোমবার (২৬শে সেপ্টেম্বর) সকালে পুকুর ধারে খেলা করার সময় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা সবাই উপজেলার কবাখালী ইউনিয়নের মুসলিম পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার সকালে পুকুর পাড়ে খেলা করতে যায় ফারহান ও নুসরাত। খেলা করার সময় এক পর্যায়ে তারা পুকুরের পানিতে তলিয়ে যায়। দীঘিনালা কবাখালী ইউনিয়নের মুসলিম পাড়া গ্রামে বাসিন্দা ফারহানের বয়স দুই বছর। সে উপজেলার কবাখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে কামাল হোসেনের ছেলে। অন্যদিকে নুসরাতের বয়স দেড় বছর।
এব্যাপারে এলাকাবাসী রেজাউল করিম জানান, দুপুরে গোসল ও খাওয়া-দাওয়া করানোর জন্য আমরা খোঁজ নিতে যাই, খুঁজে না পেয়ে এক পর্যায়ে পুকুরের পানিতে ভেসে থাকতে দেখি। পরে উদ্ধার করে দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
দীঘিনালা উপজেলার কবাখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো: আবদুল আলিম জানান, নিহত ছেলেমেয়ে দুটি আমার প্রতিবেশী। তারা পুরো বাড়ি জুড়ে খেলাধুলা করতো। আজও তারা খেলতে গিয়ে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। সকালে পুকুরপাড়ে খেলার সময় একপর্যায়ে তারা পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। পরে তাদের খোঁজ শুরু হলে পুকুর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার ডা: প্রমেশ চাকমা জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে দীঘিনালায় মাইনী নদীতে লাকড়ি ধরতে গিয়ে স্রোতে ভেসে যাওয়া যুবক রিকন চাকমার(২৫) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৩০কিলোমিটার দূরে লাশটি পাওয়া যায়।
রোববার (২৫শে সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের উজানছড়ি এলাকায় ভাসমান অবস্থায় তাঁর লাশ পাওয়া যায়।
নিখোঁজ রিকন চাকমার বাড়ি উপজেলার ৫নং বাবুছড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের দাদন কারবারিপাড়ায়। গত শুক্রবার (২৩শে সেপ্টেম্বর) সকালে মাইনী নদীতে লাকড়ি ধরতে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হন।
৫নং বাবুছড়া ইউনিয়ন পরিষদের(ইউপি) ১নং ওযার্ডের সাবেক সদস্য ও দাদন কারবারিপাড়ার বাসিন্দা সমর বিজয় চাকমা বলেন, রিকনের লাশ মাইনী নদীতে ভাসতে দেখে লোকজন খবর দেন। পরে গ্রাম থেকে লোকজন গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। যেখানে লাশ পাওয়া গেছে, তা ঘটনাস্থল থেকে ৩০কিলোমিটার দূরে।
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মুহাম্মাদ আরাফাতুল আলম জানান, রিকন চাকমার পরিবারকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন