গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে ‘মুট কোর্ট’ উদ্বোধন
গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের আইন বিভাগে ‘মুট কোর্ট’ উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (২৫ মে) সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আহমেদ সোহেল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই মুট কোর্ট উদ্বোধন করেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফায়জুর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন ও বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস. এম. মাসুম বিল্লাহ, গ্রিন ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন (বিএন) শেখ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন (এলপিআর), আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. আরিফুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি আহমেদ সোহেল বলেন, মুট প্রতিযোগিতা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। তাছাড়া একজন আইনের শিক্ষার্থীর জন্য মুট কোর্ট রুম অপরিহার্য। এটি শুধু তার একাডেমিক ক্ষেত্রে ভালো কাজে দেয় না, দেশে-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত আইনবিদ হতেও সহায়তা করে। এ সময় তিনি বিশ্ব মুট কোট প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উত্তোরত্তর অবদান রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেন, মানুষের রক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন আইনের শিক্ষার্থীরা। তাদের দ্বারা সমাজ ও রাষ্ট্র যেমন উপকৃত হবে, তেমনি হবে গোটা বিশ্ব। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য লিগ্যাল এডুকেশন প্রয়োজন, যেটা প্রকৃত অর্থে মানুষের কাজে লাগবে। এ সময় গ্রিনের শিক্ষার্থীদের দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও অবদান রাখার আহ্বান জানান উপাচার্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্বাধীনতা শুধু অধিকারের ক্ষেত্রে নয়, ন্যায়বিচারের জন্যও জরুরি। ন্যায়বিচার থাকলেই কেবল একটি সমাজ-রাষ্ট্র টেকসই ও উন্নত হবে। তিনি বলেন, মানুষ প্রতি মুহূর্তে নিজেকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাচ্ছে। একটা কাজ করার পর পরবর্তী কাজ কী হবে, সেটার জন্যও মানুষের নিজেকে বিচার করতে হয়। এ সময় তিনি আইনের শিক্ষার্থীদের যেকোনো ধরনের আইন বহির্ভূত কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. এস. এম. মাসুম বিল্লাহ বলেন, মানুষের জন্য আইনকে সহজবোধ্য করে তুলতে হবে। তবেই আইনের সঠিক ব্যবহার হবে। তিনি বলেন, আইন মানুষের জন্য, এটাকে মানুষের কল্যাণেই কাজে লাগাতে হবে।
অনুষ্ঠানে আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. আরিফুজ্জামান অতিথি ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এতে বিভাগের শিক্ষক ছাড়াও আইন বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন