সড়কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাতক্ষীরার বিনেরপোতা এলাকায় মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্ট

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)’র চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের নির্দেশনা ও খুলনা বিভাগের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জিয়াউর রহমানের তত্ত্বাবধানে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে ও যাত্রী, চালক, পথচারীদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও বিআরটিএ’র উদ্যোগে মোটযানের উপর ধারাবাহিক ভাবে মোবাইল কোর্ট অব্যহত রয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২৫ মে) বিকালে সাতক্ষীরা শহরের অদূরে বিনেরপোতা এলাকাতে সড়কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যানবাহনের উপর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো ও সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর বিভিন্ন ধারা ভঙ্গের কারনে ২ টি মামলার বিপরীতে ৫শত’ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এ সময় উক্ত মোবাইল কোর্টে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার পলাশ আহমেদ, বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের মেকানিক্যাল এ্যাসিস্ট্যান্ট মোঃ ওবায়দুর রহমান জিএম শাখার বেঞ্চ সহকারী ওয়াহিদুজ্জামান, অফিস সহকারী সহকারী শেখ আশিকুর রহমান সহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স।

মোবাইল কোর্টের অভিযানের বিষয়ে সাতক্ষীরা বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি:) কে এম মাহবুব কবির বলেন, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও বিআরটিএ খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (ইঞ্জি:) মোঃ জিয়াউর রহমানের নির্দেশনায় খুলনা বিভাগের প্রত্যেকটি সার্কেলের আওতাধীন জেলা গুলোতে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষের মধ্যে সড়কে চলাচলের উপর সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ধারাবাহিক ভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত রাখা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন আমরা শুধু যানবাহনের উপর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মামলা ও জরিমানা করছি না এর পাশাপাশি সড়কে শৃঙ্খলা ও চালক পথচারীদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া সরকার ইতিমধ্যে দ্বিতীয় ধাপে যে সকল মোটরযানের ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন ও রুট পারমিট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন নেই তাদেরকে জরিমানা ব্যাতীত মূল কর ফিস দিয়ে কাগজ পত্র হালনাগাদ করার জন্য আগামী ৩০ জুন’ ২৪ পর্যন্ত সময় বর্ধিত করেছে।

এ সময়ের পরে যেসকল যানবাহনের কাগজ পত্র খেলাপি এবং চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন থাকবে না সে সকল যানবাহন ও চালকদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।