নরসিংদীতে ঘোড়াশালে যানজট নিরসনে রাস্তায় পৌর মেয়র

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর শহরের ব্যস্ততম সড়ক ঘোড়াশাল বাজার। প্রতিদিন এখানকার রাস্তার দুই পাশ অটোভ্যান, অটোরিকশায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এছাড়া রাস্তার পাশে বিভিন্ন মাল ভর্তি ট্রাক রেখে মালামাল লোড-আনলোড করার কারণে প্রতিনিয়ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স থেকে শুর করে পথচারীরা নানা দুর্ভোগে পড়েন।

এই যানজট সমস্যার সমাধানে ঘোড়াশাল পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আল-মুজাহিদ হোসেন তুষার নিজেই রাস্তায় নামলেন। কাউন্সিলর, পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে কখনও রাস্তার পাশে বসেন, আবার কখনও বা ঘোরাঘুরি করে যানজট নিয়ন্ত্রণ করেন মেয়র। এতে নিমিষেই উধাও যানজট। এছাড়া বিভিন্ন মাল ভর্তি ট্রাক লোড-আনলোড করার জন্য রাত ৮ টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করাসহ বিভিন্ন যানবাহনের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করে দেয়ার নির্দেশনা দেন মেয়র। অস্থায়ী ভিত্তিতে কয়েকজন লোকবল রেখে যানজট নিরসনের দায়িত্ব দেয়া হয়। দীর্ঘদিনের যানজট নিরসনে নবনির্বাচিত মেয়রের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করছেন স্থানীয়রা।

ঘোড়াশাল বাজার রোডে নিয়মিত অটো রিকশা চালক আব্দুল আজিজ মিয়া বলেন, আগে ঘোড়াশাল স্টেশন রোড থেকে বাংলাদেশ জুট মিল পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা দিয়ে দীর্ঘ যানজট থাকায় যেতে সময় লাগতো প্রায় ৩০ মিনিট। আর সেই একই রাস্তায় মেয়রের উদ্যোগে যানজট নিরসন হওয়ার ফলে সময় লাগে মাত্র ৮ থেকে ১০ মিনিট।

এ বিষয়ে মেয়র আল-মুজাহিদ হোসেন তুষার বলেন, ঘোড়াশাল বাজার সড়কের যানজট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই মানুষের ক্ষোভ ছিল। কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি। অচিরেই পৌর শহরের বিভিন্ন জায়গাগুলোর যানজট নিরসনে পার্কিং নির্দিষ্ট স্থান তৈরি, সিএনজি ও অটোরিকশাগুলো যেন রাস্তার দুই পাশে যত্রতত্র না রাখতে পারে তার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

পৌরবাসীর সমস্যা নিরসন করাই মেয়রের কাজ বলে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ঘোড়াশাল পৌর শহরের রাস্তার পাশে গড়ে উঠা বিভিন্ন ফুটপাতের বাজার গুলোও নির্দিষ্ট স্থানে বসানোর পরিকল্পনা চলছে।