নরসিংদীর রায়পুরায় বাসষ্ট্যান্ডে এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় বটগাছের নীচেমোতালিব গং- এর অবৈধ স্থাপনাসহ দোকান উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছেরায়পুরা উপজেলার ভূমি সহকারী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় এ অভযিান চালানো হয়।
তবে, শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে দেখা যায় যে, আবার নতুন করে অবৈধ স্থাপনা পুন-নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে।
রায়পুরা বাসষ্ট্যান্ড এলাকার ব্যবসায়ী কাশেম মিয়া সংবাদকর্মীদেরকে জানান, ভূমি অফিস থেকে মাত্র ত্রিশ গজের ভিতরে এইরকম অবৈধ স্থাপনা তৈরী করছে ভূমিদস্যুরা। এই ভূমিদস্যুদের একটি বড় সিন্ডিকেট রয়েছে। যারা বিভিন্ন সময়ে মোটা অংকের চাঁদার মাধ্যমে সরকারী জায়গায় এইরকম অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে আয় করছে। তাদের বিরুদ্ধে কেউই প্রতিবাদ করলে তারা মারধোরসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলা-হামলা দেওয়ার হুমকি প্রদান করে।
যার ফলে সাধারন মানুষ ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে সাহস করে না।
সি.এন.জি চালক জয়নাল সংবাদকর্মীদের নিকট অভিযোগ করে বলেন, মোতালিব গং সহ তাদের সিন্ডিকেটের নিকট জিম্মি রায়পুরা পৌর এলাকার অনেক নিরীহ বাসিন্দারা। অথচ তারা জামাত শিবিরের সাথে জড়িত থাকলেও কৌশলে বিভিন্ন দপ্তরে ম্যানেজ করে অবৈধ ভাবে স্থাপনা তৈরী করে মোটা অংকের মুনাফা পাচ্ছে।
এদিকে রায়পুরা বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় উচ্ছেদ অভিযানের পর অবৈধ স্থাপনা পুনরায় নির্মাণ করার চেষ্টাসহ বিভিন্ন দপ্তরে তদবির চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এক শ্রমিক। সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ শ্রমিকরা ভয়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মোতালিব গং এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে মোতালিব গং এর পাঠানো একজন লোক সংবাদকর্মীদেরকে ঘুষ দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে। সংবাদকর্মীরা ঘুষ নিতে অনীহা প্রকাশ করলে লোকটি জানায় যে, তারা এই অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করবেই।
প্রত্যক্ষদর্শী আরো অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, এ সকল ভূমি দস্যুরা সরকারি জায়গা, হিন্দু সম্পত্তি, মসজিদ-মাদ্রাসার জায়গা এভাবেই রাতের আঁধারে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে দখল করে নিচ্ছে।
রায়পুরা পৌর এলাকার বাসিন্দা মিজান অভিযোগ করে জানান, মোতালিব, ইদ্রিস আলী মুন্সী ও ইব্রাহিম খলিল সেন্টু গংরা জোর জবরদস্তি করে সরকারি রাস্তা জোর-জবরদস্তি দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করায় আমি ও আমার প্রতিবেশিদের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা বাসা থেকে বের হতে পারছি না। তারা এতই প্রভাবশালী যে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতেও ভয় হয়।
উচ্ছেদ অভিযানে সহায়তা করে রায়পুরা থানার পুলিশ।
রায়পুরা উপজেলার ভূমি সহকারী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম সংবাদকর্মী রুদ্রকে মুঠোফোনে জানান, ‘নরসিংদী জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় গতকাল আমরা এ অভিযানটি সরেজমিনে সফলভাবে চালিয়েছি।
বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী ফুটপাত বা কোন সরকারী খাস জমিনে স্থায়ী কোন স্থাপনা করতে দেওয়া হবে না। যদি কেউ এরকম করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন