বাবার মৃতদেহ ঘরে রেখে পরীক্ষার হলে মেয়ে
বাবার মৃতদেহ ঘরে রেখে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ছোট মেয়ে রাজিয়া ইসলাম নিসা।
রোববার (২১ নভেম্বর) মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউষা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমলগঞ্জ পতনউষা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ ফয়েজ আহমদ।
তিনি জানান, এসএসসি পরীক্ষার্থী রাজিয়া ইসলাম নিসার বাবা মিজানুর রহমান রোববার ভোরে আকস্মিকভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এতে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়। পরে মিজানুর রহমানের মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
‘এদিন তার মেয়ে রাজিয়া ইসলাম নিসার ছিল এসএসসি ভূগোল পরীক্ষা। বাবার এমন আকস্মিক মৃত্যুতে সে হতবিহবল হয়ে পড়ে। বাড়িজুড়ে শোকের মাতম। এতে সে নিসা প্রতি মুহূর্তে মূর্ছা যাচ্ছিল। এদিকে পরীক্ষার সময়ও ঘনিয়ে আসছিল। সকাল ৯টায় পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে। কি করবে ভেবে পাচ্ছিল না।’
অবশেষে পাড়া প্রতিবেশী ও স্কুলের সহযোগিতায় অশ্রুসিক্ত নয়নে বাবার মৃতদেহ ঘরে রেখেই পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হয় ওই শিক্ষার্থী। তবে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে স্কুলের শিক্ষক তার দিকে নজর রাখছিলেন। পরীক্ষা শেষে বাড়ি এসে তার বাবাকে দাফন কাফনের পর সে চিরবিদায় জানায়।
নিসা জানায়, তার বাবার আত্মার শান্তির জন্য সে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। তার বাবা চেয়েছিলেন- মেয়ে লেখাপড়া শিখে অনেক বড় হবে।
তথ্যসূত্র: সময় সংবাদ
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন