রংপুর -৫(মিঠাপুকুর) সংসদীয় আসনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রাশেক রহমান
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মিঠাপুকুরে জমে উঠেছে ভোটের লড়াই। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে বিজয়ী হতে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন প্রার্থীরা। স্ব-স্ব প্রার্থী আর সমর্থকরা তাদের নির্বাচনী প্রচারনায় ব্যস্ত। এক সময়ে লাঙ্গলের দূর্গ ক্ষেত আসনটিতে লাঙ্গলের জনপ্রিয়তা হ্রাস পাওয়ায় বিগত নির্বাচন গুলোর মতো নৌকা এবারো তাঁর একক আধিপত্য বজায় রেখেছে।
নতুন মুখ রাশেক রহমান সহ সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার এবং আওয়ামী লীগের রংপুর জেলা কমিটির সাবেক যুগ্মঃ সম্পাদক- মোতাহার হোসেন মন্ডল মওলার মধ্যে ত্রিমুখী লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন প্রতীক পায় রাশেক রহমান। দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রতীক না পেয়ে মোতাহার হোসেন মওলা, নির্বাচন থেকে সরে গেলেও জাকির হোসেন সরকার, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক মার্কা নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, পাঁচ বারের সংসদ সদস্য, প্রবীণ রাজনীতিবীদ এইচএন,আশিকুর রহমানের পুত্র রাশেক রহমান। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির সদস্য তিনি। সদ্য ঘোষিত আওয়ামী লীগের উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক তিনি। নৌকা পাওয়ার পর কতটা তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করতে পারবেন সেটা ছিলো আলোচ্য বিষয়। তবে তরুণ রাজনীতিবীদ এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্ব রাশেক রহমানে আস্থা রেখেছে তরুণ প্রজন্ম এবং সাধারণ ভোটারেরা।
মিঠাপুকুরে এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাশেক রহমানের সঙ্গে লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকারের। জাকির হোসেন সরকার, তিনবার উপজেলা চেয়ারম্যান সহ ৩৭ বছর একটানা মিঠাপুকুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। দলীয় কোন্দলে কোনঠাসা হয়ে থাকলেও মাঠের পরিস্থিতি ভালো। অন্যদিকে ছেলে রাশেক রহমানের পক্ষে এইচএন আশিকুর রহমান মাঠে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। পিতার ব্যক্তিগত ইমেজ এবং তার অনুসারীদের সমর্থন এমপি পুুত্র রাশেক রহমানকে একটা আলাদা সুবিধা দিয়েছে। পাশাপাশি মিঠাপুকুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্য ঘোষিত আহবায়ক কমিটি এবং তাঁর অঙ্গ সংগঠন সমুহের কমিটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাঠে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কাজ রাশেক রহমানকে এগিয়ে রেখেছে।
তরুণ আর উদীয়মান ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, রাশেক রহমান, তরুণদের মতামতকে সব সময় প্রাধাণ্য দেয়। উপজেলায় তরুনদের বিভিন্ন উন্নয়নমুল্যক কর্মকান্ড যেমন,চাকরি,শিক্ষা, ব্যবসা,বানিজ্য, সাংস্কৃতিক আচার অনুষ্ঠান, খেলাধুলার মান উন্নয়ন, ধর্মীয় মুল্যবোধ বৃদ্ধি,শরীরচর্চা ইত্যাদি বিষয়ে পূর্ব থেকেই তিনি তরুণদের সম্পৃক্ততা বাড়িয়ে তুলেছেন। তরুনরা মনে করেন রাশেক রহমান, নির্বাচিত হলে উপজেলার তরুনদের কর্মস্থান বাড়বে এবং বিকারগ্রস্ত তরুনদের কর্মসংস্থান বাড়িয়ে তাদের জীবনমান উন্নয়ন করবে। উপজেলায় মাদক নির্মুলে যুগপৎভাবে সিদ্ধান্ত নিবেন।
রাশেক রহমান জানান, মিঠাপুকুর উপজেলাকে আমার বাবা এইচএন আশিকুর রহমান, মডেল উপজেলা হিসেবে তৈরি করেছে। মিঠাপুকুরের অলিগলি রাস্তা ঘাট,ব্রিজ কালভার্ট সহ ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে মিঠাপুকুরের জনগন নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করবে। আমি আমার বাবার মতো মিঠাপুকুর উপজেলাবাসীর সেবা করে যেতে চাই। আমি নির্বাচিত হলে তরুণ আর যুবকদের কর্মসংস্থান সহ জীবন মান উন্নয়নে কাজ করবো।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন