আগামী বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তির ইঙ্গিত শিক্ষা উপমন্ত্রীর

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রমের মতোই বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম চালু করা হবে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে এ কার্যক্রম চালু করা হতে পারে বলে জানান তিনি। সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে যারা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছেন তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে বলেও হুশিয়ার করেন তিনি। রোববার (১২ মে) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম উদ্বোধনকালে শিক্ষা উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

উপমন্ত্রী বলেন, সমন্বিত ভর্তি কার্যক্রম বাস্তবায়ন হলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কষ্ট ও ভোগান্তি লাঘব হবে। ভর্তি প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আসবে। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে এখনো যারা বাধা সৃষ্টি করছেন বা নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছেন তাদের সতর্ক করে দেয়া হচ্ছে। কোনো প্রতিবন্ধকতাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে না, বরং তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে।

শিক্ষা উপমন্ত্রী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি কার্যক্রমের বিষয়ে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আগামী বছর থেকে এ কার্যক্রম শুরু করা হতে পারে। উপমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ইউজিসির সাথে এই বিষয় নিয়ে বৈঠক করেছি। তারা একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। সেখানে এই বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আমরা এই প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করব। কীভাবে এটি বাস্তবায়ন করা যায় সেটি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেই বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পদ্ধতি চালু করা হবে।

জোর করে কোনো আইন বা নিয়ম কারো উপরে চাপিয়ে দেয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়া চালুকরণ সকলের দাবি। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়া কার্যকর করা হবে। এটি আমাদের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি। তাই কোনো বাধাই আমলে নেয়া হবে না বলেও জানান উপমন্ত্রী।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (কলেজ) ড. মো. মাহমুদুল হক।