নওগাঁর মান্দায় রাস্তার লাখ লাখ টাকার গাছ কাটা হচ্ছে প্রকাশ্যে, নিরব কর্তৃপক্ষ

নওগাঁর মান্দায় স্থানীয় প্রসাশনের নেয় কোন অনুমতি ও কোন প্রকার টেন্ডার, কোটেশন ছাড়াই রাস্তার দুই পাশের লাখ লাখ টাকার সরকারি গাছ কাটা হচ্ছে প্রকাশ্যে।

অন্যদিকে কর্তৃপক্ষ রয়েছে নিরব। স্থানীয় এলাকাবাসীরা বলেন যেন ‘সরকারি মাল, দরিয়ামে ঢাল’ অবস্থা। গত কয়েক সপ্তাহে ৫ লক্ষাধিক টাকার মূল্যবান ইউকালেকটর, মেহগনি, কড়ইসহ নানা প্রকৃতির রাস্তার ধারের সব তাজা গাছ কেটে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। গাছ কেনা-বেচার ধুম পড়েছে, নেয়া হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় ও স’মিলে। এই দৃশ্য নওগাঁর মান্দা উপজেলার কশব ইউনিয়নের কশব গ্রাম থেকে কশব ভুলাগাড়ী প্রর্যত্ন। সড়কটির রাস্তার গাছগুলো ১৯ মে থেকে টাকা শুরু হয়েছে, এখনো প্রতিদিন কেটে নেয়া হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কশব ইউনিয়নের ভুলাগাড়ী থেকে একটি পাকা সড়ক মান্দা উপজেলার সদরে গিয়েছে। এই সড়কের দু’ধার দিয়ে রয়েছে ২০/২৫ বছরের বহু মূল্যবান গাছ। এসবের ভেতরে রয়েছে ইউকালেকটার, মেহগনি, কড়ইসহ অন্যন্য গাছ। কশব ইউনিয়নের কশব ভুলাগাড়ী অংশের বেশিরভাগ গাছ বিক্রি করেছে জয়নাল ইসলাম, মুনছুর রহমান ও সাইদুর রহমান, নামের তিন ব্যক্তি। আর তা কিনেছে কশব ভুলাগাড়ী ইটঁভাটার মালিক দুলাল মোল্লা। করাত দিয়ে ইউকালেকটর, মেহগনি, কড়ই গাছগুলি কেটে নেয়া হচ্ছে। গাছকাটা শ্রমিক ইসমাইল হোসেন, আবজাল আলী,কুদ্দুস আলী জানান, ভুলাগাড়ী গ্রামের জয়নাল, সাইদুর রহমান নামের দুই ব্যক্তি গাছ কাটতে বলেছেন। তিনি বিক্রি করেছেন, রাস্তার পাশে তার জায়গা আছে। গাছভর্তি করেছেন ট্রলি চালকদের একজন বাদশা মিয়া। তিনি জানান, কশব ভুলাগাড়ী দুলাল মোল্লার ভাটাতে নিচ্ছেন এসব গাছ। আর, পথচারী,নজরুল, এনামুল হক, কাজল মন্ডলসহ কয়েকজন জানান, কয়েকদিন ধরে এসব গাছ কাটা চলছে। জানতে চাইলে গাছক্রেতা ,সাইদুর রহমান জানান, ‘মানুষ বেঁচে বলে আমরা কিনি’জয়নাল ও মুনছুর এর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে গাছ কিনেছেন বলে জানান।

এদিকে গাছ বিক্রেতা জয়নাল হোসেন ও সাইদুর রহমান জানান, রাস্তা সরকারি হলেও রাস্তার পাশের জায়গা তাদের। আর গাছ তাদের লাগানো। গাছ কাটা নিয়ে ইটভাটার মালিক দুলাল এর সঙ্গে কথা বলেন। রাস্তার গাছ কাটা প্রসঙ্গে মান্দা এলজিইডি অফিসের ইঞ্জিনিয়র সাইদুর রহমান জানান, প্রথমে রাস্তাটি তাদের মনে করলেও খাতা-কলমে সেটি গ্রামীণ রাস্তা। যার দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদের। ফলে গাছ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া, না নেয়া তাদের ব্যাপার। কশব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুর হোসেন জানান, রাস্তা কাদের তা তিনি জানেন না, তবে চুরি করে গাছ কাটা হচ্ছে। রাস্তা তাদের হলে তিনি লিখিত অভিযোগ দিবেন।

মান্দা ভূমি অফিসের ভূমি কর্মকর্তা শাহানাজ পারভিন জানান, বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আন্জুমান খানম, জানান, এলজিইডির রাস্তার ক্ষেত্রে রাস্তা থেকে ৩ ফুট পর্যন্ত সরকারি জায়গা। রাস্তাটি ইউনিয়ন পরিষদের হলে সে রাস্তা কতটুকু কাগজে-কলমে আছে তা দেখতে হবে। তহশীলদার কে জানানো হয়েছে, ওই রাস্তার তথ্য জানালে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।