আপনি কি ঘুমের মধ্যে কথা বলেন?

ঘুমের মধ্যে কথা বলার প্রবণতা যে কোনও বয়সের মানুষের মধ্যে দেখা দিতে পারে। তবে শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এই প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এটা খুবই সাধারণ সমস্যা এবং এর জন্য সাধারণত চিকিৎসার সাহায্য নেওয়া হয় না।

ঘুমের মধ্যে জোরে বা আস্তে যে কোনও ভাবেই মানুষ কথা বলতে পারে। আবার কখনও বা চিৎকারও করতে পারে। যে সব মানুষ ঘুমের মধ্যে কথা বলে তারা সাধারণত নিজেদের সঙ্গেই কথা বলে। কিন্তু মাঝে মধ্যে অন্যের সঙ্গেও কথা বলতে দেখা যায়।

এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন শিশু প্রতি সপ্তাহে একাধিকবার ঘুমের মধ্যে কথা বলে। তবে অনিদ্রাজ্বর, অসুস্থতা, অত্যাধিক মদ্যপান, মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তায় থাকলে ঘুমের মধ্যে এমন হতে পারে।

ঘুমের মধ্যে কথা বলা এড়াবেন কীভাবে?

ঘুমের সিডিউল
ঘুমের নির্ধারিত সময় না থাকলে এই ধরণের সমস্যা দেখা যায়। এই কারণেই প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ঘুমানো এবং ঘুম থেকে ওঠা প্রয়োজন। আর নিয়মিত অবশ্যই আট ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। যত কম ঘুম হবে ঘুমের মধ্যে কথা বলার প্রবণতা ততই বাড়বে।

অত্যাধিক ক্যাফাইন গ্রহণ
মদ্যপান বা ক্যাফাইনযুক্ত পানীয় গ্রহণের ফলে মানুষ ঘুমের মধ্যে কথা বলার মতো সমস্যার সম্মুখীন হয়। তাই এই সমস্যার সমাধান করতে ক্যাফাইন জাতীয় পানীয় গ্রহণের প্রবণতা কমানো প্রয়োজন। এছাড়াও রাতে ঘুমানোর আগে ভারী খাবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন।

মানসিক উদ্বেগ
মানসিক উদ্বেগের ফলে ঘুমের মধ্যে কথা বলার প্রবণতা দেখা যায়। মানসিক উদ্বেগ দূর করতে দুই-এক দিনের ছুটি নিয়ে কোথাও ঘুরে আসুন। এছাড়াও বিভিন্ন ব্রিদিং এক্সারসাইজ করে মানসিক উদ্বেগ দূর করুন। এছাড়াও বিভিন্ন ধরণের বই পড়ে, শরীরচর্চা করে, গান শুনে মেজাজ ভালো রাখুন।

ডাক্তারের পরামর্শ নিন
আপনার ঘুমের যদি অত্যন্ত সমস্যা হয় তবে দেরি না করে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। অনেক সময় বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার জন্য ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। এর জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে উপযুক্ত চিকিৎসা ও ওষুধ সেবন করা প্রয়োজন।