ইরানের তেল বিক্রির নিষেধাজ্ঞায় পিছু হটছে যুক্তরাষ্ট্র

ইরানের তেল বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন নিউচিন। ইরানের তেল বিক্রির পরিমাণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে বলে গত কয়েক সপ্তাহ ব্যাপক প্রচার চালানোর পর মার্কিন অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানালেন।

ইরানের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসার কথা স্বীকার করে মার্কিন অর্থমন্ত্রী আরও বলেছেন, ইরানের কাছ থেকে তেল কেনার পরিমাণ কমিয়ে আনা হলে ওই দেশগুলোকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হবে।

কয়েকদিন আগেও মার্কিন কর্মকর্তারা জোর গলায় দাবি করছিলেন, ৫ নভেম্বর থেকে ইরানের তেল বিক্রি ও ব্যাংকিং লেনদেন শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে। তবে তারা এও বলেছেন, কেবল জরুরি প্রয়োজনে কিংবা তেল ক্রয়কারী সীমিত কয়েকটি দেশকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হবে।

তবে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে কিছু দিনের জন্য ইরানের তেল বিক্রির পরিমাণ হয়তো কমে যাবে কিন্তু তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় সেই ক্ষতি ইরান পুষিয়ে নিতে সক্ষম হবে।

এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বহুবার এ নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন যে, ইরানের তেল বিক্রি বন্ধ করে দেয়া হলে জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে অথবা ইরান সরকার আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় বসতে বাধ্য হবে।

এদিকে বিশ্ব বাজারে ইরানের তেল বিক্রি ও ব্যাংকিং খাতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের আর মাত্র দুই সপ্তাহ বাকি রয়েছে। তারপরও ইরান প্রতিদিন ১০ লাখ ব্যারেল তেল বিক্রি অব্যাহত রেখেছে। কিছু দিনের মধ্যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিশেষ ব্যবস্থায় ইউরোপ ইরানে অর্থ পাঠানোর কাজ শুরু করবে। এর ফলে ইরানের তেল বিক্রি বাবদ পাওনা অর্থ পাওয়ার বিষয়ে নিশ্চয়তা বহুগুণে বেড়ে গেছে।