ইরানের হামলা: ইসরায়েলে স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

দখলদার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ২ শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা শুরু করেছে ইরান। শনিবার (১৩ এপ্রিল) গভীর রাতে এ হামলা চালানো হয়। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েল স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় এবং ক্যাম্প বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হতে এবং সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন। একইসঙ্গে ইসরায়েল স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় এবং ক্যাম্প বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এক হাজার জনের বেশি জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত থাকবে এবং ইরানের হামলার কারণে মানুষের জমায়েত সীমিত রাখা হবে।

এদিকে ইসরায়েলে ইরানের হামলার কারণে নিজ নিজ আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে ইরাক, জর্ডান ও লেবানন। ইরাকি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে, দেশের আকাশসীমা অস্থায়ীভাবে বন্ধ থাকবে। কোনো ফ্লাইট উড্ডয়ন বা অবতরণ করতে পারবে না। ট্রানজিটও বন্ধ থাকবে।

এর আগে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তারা। ‘ট্রু প্রোমিজ’ নামে অভিযানের আওতায় এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইসরায়েলের অপরাধের শাস্তি দিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও ইরানের এই বাহিনী উল্লেখ করেছে।

১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যা করে ইসরায়েল। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) ৭ জন সদস্য রয়েছেন। তাদের মধ্যে আইআরজিসির বিদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী ইউনিট কুদস ফোর্সের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদিও রয়েছেন। তিনি সিরিয়া ও লেবাননে কুদস ফোর্সের কার্যক্রম পরিচালনার নেতৃত্বে ছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতে ইসরায়েলে হামলা চালানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল ইরান।