এ প্লাস গ্রেডের হোটেলেও মিলছে না নিরাপদ খাদ্য

‘এ প্লাস’ ও ‘এ গ্রেড’ ভুক্ত হোটেলেও মিলছে না নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা। স্টিকার লাগানোর পরদিনই যেমন তথাকথিত ভালো মানের হোটেলে মিলেছে বাসি খাবার, তেমনি এখনও পরিচ্ছন্ন পরিবেশের ঘাটতি রয়েছে গ্রেডধারী একাধিক হোটেলে।

টয়লেটের পাশেই চলছিল সবজি ধোয়ার কাজ। হোটেলের মান কিন্তু এ গ্রেডের। আবার টক দই ঢাকা হয়েছে পত্রিকা দিয়ে। এখানেই শেষ নয়। রাজধানীর তোপখানা রোডের হোটেলটির নাম মোঘল দরবার।

সম্প্রতি ভোক্তাকে নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা দেবার উদ্দেশে রেস্টুরেন্টের মান বিবেচনায় নিয়ে গ্রেডিং পদ্ধতি চালু করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এতে ঢাকার ১৮টি হোটেলকে এ প্লাস মানে ‘উত্তম এবং ৩৯টি হোটেলকে এ অর্থাৎ ভালো মানের বলে স্টিকার দেওয়া হয়। কিন্তু স্টিকার লাগানোর পরদিনই বাসি খাবারসহ নানা অভিযোগে জরিমানা গুণতে হয় তিনটি গ্রেডধারী রেস্তোরাঁকে। এমনকি স্টিকার লাগানোর ১০ দিন পরও একই রেস্তোরাঁয় যায় সময় সংবাদ।

কর্তৃপক্ষ বলছে, স্টিকারযুক্ত হোটেলগুলোতে খাবারের মান তুলনামূলক ভালো, তবে শতভাগ নিরাপদ খাদ্য পেতে এগুলোতেও নিয়মিত অভিযান চালাবেন তারা।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর বিশ্বাস করে, জনমানুষের জন্য খাবারের মান উন্নত নিশ্চিত করার জন্য অবশ্যই হোটেলেগুলোতে মনিটরিং কার্যক্রম প্রতিনিয়ত চলমান থাকা উচিত।’

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর বলেন, ‘সামান্য কিছু ভুল পাওয়া যাচ্ছে হোটেলগুলোতে, যে ভুলগুলো সংশোধনযোগ্য। হোটেল কর্তৃপক্ষকে আমরা সাবধান করে আসছি, এরপর আমরা শাস্তির ব্যবস্থা করবো।’

বলা চলে এ প্লাস ও এ গ্রেডধারী হোটেলগুলো উচ্চবিত্তের। কিন্তু মধ্যবিত্তের এই রাজধানীর বেশিরভাগ মানুষ যে ধরনের হোটেলে খেতে বাধ্য হন সেগুলোকেও গ্রেডিং এর আওতায় আনার দাবি করছেন তারা।

সাধারণ মানুষ জানান, অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে, বিশেষ করে তরুণ যারা আছে যাদের বাইরে খেতে হয় সবচেয়ে বেশি তারাই অসুস্থ হচ্ছে।

স্মার্ট ফোনের প্লে স্টোরে গিয়ে বিএফএসএ লিখে সার্চ দিলে আপাতত ৫৭টি এ প্লাস ও এ গ্রেডের হোটেলের তালিকা এবং ঠিকানা পাবেন ভোক্তারা। পর্যায়ক্রমে সব হোটেলই আনা হবে এই অ্যাপের আওতায়।