কাতারে শ্রমিক পাঠানো স্থগিত করল ফিলিপাইন

দোহার সঙ্গে মালদ্বীপসহ মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিশালী সাত দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের পর কাতারে শ্রমিক পাঠানো স্থগিত করেছে ফিলিপাইন। মঙ্গলবার কাতারে ফিলিপিনো শ্রমিক পাঠানো স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে ম্যানিলা।

দেশটির শ্রমিক নেতা সিলেভেসট্রি বেল্লো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কাতারে ফিলিপাইনের দুই লাখের বেশি শ্রমিক খাবার সংকটে ভুগতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আমরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, কাতার সমস্যায় পড়তে যাচ্ছে। কারণ, নিজেদের খাদ্য উৎপাদন করতে পারে না কাতার। যদি বাইরে থেকে খাবার না আসে, তাহলে অামাদের লোকজন সর্বপ্রথম ভোগান্তির শিকার হবে।

ফিলিপিনো এই শ্রমিক নেতা বলেন, যারা কাতারে যাওয়ার জন্য কাগজপত্র জমা দিয়েছেন কিংবা কাতার থেকে ফিলিপাইনে ফিরেছেন; এ সিদ্ধান্তের ফলে তারা সমস্যায় পড়বেন।

এক কোটিরও বেশি ফিলিপাইনের নাগরিক বিদেশে শ্রমিক হিসেবে এবং স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। যারা প্রতি বছর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়ে অর্থনীতিকে চাঙা করতে সহায়তা করছেন।

গত বছরের এক পরিসংখ্যান বলছে, কাতারে ১ লাখ ৩১ হাজার ফিলিপাইনের শ্রমিক রয়েছে। তবে মোট দুই লাখের বেশি শ্রমিক সেখানে আছে বলেও মনে করেন সিলেভেসট্রি বেল্লো।

সোমবার সৌদি আরব, মিসর, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, লিবিয়া, ইয়েমেন ও মালদ্বীপ কাতারের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। তাদের অভিযোগ, মুসলিম ব্যাদারহুড, ইসলামিক স্টেট (আইএস), অাল কায়েদাসহ বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীকে সহায়তা করছে কাতার।

কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা এসব দেশের নাগরিকদের কাতারে যাওয়া, সেখানে বসবাস করা বা কাতার হয়ে অন্য কোনো দেশে যাওয়াও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ওই সাত দেশের নাগরিকদেরকে আগামী ১৪ দিনের মধ্যে কাতার থেকে দেশে ফেরার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সৌদি আরব, আরব আমিরাত এবং বাহরাইনে বসবাসরত কাতারিদেরও একই সময়ের মধ্যে এসব দেশ ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে।

এছাড়া অাকাশসীমা ও সমুদ্রবন্দর ব্যবহারে প্রতিবেশি দেশগুলো কাতারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ফলে বাইরের দেশগুলো থেকে কাতারে পণ্য আমদানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

সূত্র : এএফপি।