নির্বাচনের আগে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে বড় প্রকল্প

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গ্রামীণ অঞ্চলের অবকাঠামো উন্নয়নে বড় প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। আলাদা দুই প্রকল্পে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে এক হাজার তিনশ তিন কোটি টাকা। গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়) শীর্ষক এসব প্রকল্পে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেন রাস্তাঘাট, ছোট ছোট ব্রিজ-কালভার্ট, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। ইতোমধ্যে পরিকল্পনা কমিশনে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব পাঠিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ, যা মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হচ্ছে।

জানা গেছে, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে জোড় দেয়া হচ্ছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) তৈরি করে ‘গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠমো উন্নয়ন প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়)। এর একটি হবে বরগুনা, পটুয়াখালী, বি-বাড়িয়া, নড়াইল ও বাগেরহাট জেলার নয় উপজেলায়। এতে ব্যয় হবে ৩৫৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা।

এর আওতায় প্রায় ১৩০ কিলোমিটার উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম সড়ক উন্নয়ন করা হবে। এছাড়া গ্রামীণ জনগণের জীবনমান উন্নয়নে ভুমিকা রাখবে বলে মনে করে পরিকল্পনা কমিশন।

অন্যটি বাস্তবায়ন হবে বরিশাল সদর, আগৈলঝড়া, গৌরনদী, উজিরপুর, বানানীপাড়া, বাবুগঞ্জ, মুলাদী ও হিজলা উপজেলা, ঝালকাঠি সদর, রাজারপুর, কাঠালিয়া ও নলছিটি এবং পিরোজপুর জেলা সদর, নাজিরপুর, নেছারাবাদ,ভাণ্ডারিয়া, কাউখালী, ইন্দুরকানী ও মঠবাড়িয়া উপজেলায়।

এই অঞ্চলের ৭৬২ কিলোমিটার সড়কের উন্নয়ন করা হবে। এর মধ্যে উপজেলা সড়ক উন্নয়ন করা হবে ১২৭ দশমিক ৫০ কিলোমিটার, ইউনিয়ন সড়ক ২৪৪ কিলোমিটার এবং প্রায় ৩৯১ কিলোমিটার গ্রাম সড়কের উন্নয়ন করা হবে।

এছাড়া গ্রাম সড়কে ব্রিজ নির্মাণ করা হবে দুই হাজার ৭২০ মিটার ও গ্রাম সড়কে কালভার্ট নির্মাণ হবে এক হাজার ১৭৩ কিলোমিটার। এছাড়া ২১টি গ্রামীণ বাজার ও ২১টি ঘাটও উন্নয়ন করা হবে। এসব কাজে পাঁচ একর বূমি অধিগ্রহণ করা হবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৫০ কোটি টাকা।

এলজিইডি ও পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় যান। সম্প্রতি তিনি বরগুনা, পটুয়াখালী ও বি-বাড়িয়া, নড়াইল ও বাগেরহাটে গিয়ে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের ঘোষণা দেন। তাতে এলাকাবাসী আশার বাঁধ বাধলেও প্রক্রিয়াগত কারণে সহজেই আলোর মুখ দেখতে পাননি। এ অবস্থায় এই দুই প্রকল্প হতে নেয়া হচ্ছে। বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত।

এ ব্যাপারে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য জুয়েনা আজিজ বলেন, প্রকল্প দুটি অনুমোদন পেলে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হবে। এছাড়া সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। কমবে পরিবহন ব্যয়। বাড়বে কৃষি ও অকৃষি পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ সুবিধা।