পাক সেনাপ্রধানকে চুমু খেতেও রাজি সিধু!

পাক সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গন করে বিতর্ক সৃষ্টির দুই মাসের মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তুলনা করে আবারও বিতর্কের জন্ম দিলেন নভজোত সিং সিধু। শনিবার কাসৌলির একটি সাহিত্য উৎসবে অংশ নিতে গিয়ে তিনি ভ্রমণের জন্য দক্ষিণ ভারতের চেয়ে পাকিস্তান বেশি আকর্ষণীয় বলে মন্তব্য করেন।

একই সঙ্গে পাক সেনাপ্রধান শিখদের জন্য সীমান্ত খুলে দিলে তাকে শুধু আলিঙ্গন নয়, চুমুও খেতে রাজি বলে জানালেন সিধু।

ভাষা ও খাদ্যাভ্যাসের কারণেই পাকিস্তান তার কাছে বেশি পছন্দের বলে সাফ জানালেন পাঞ্জাবের কংগ্রেস সরকারের এই মন্ত্রী। একই সঙ্গে ইমরান খানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পাক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকে আলিঙ্গন করার মধ্যেও দোষের কিছু নেই বলে জানিয়েছেন এই প্রাক্তন ভারতীয় টেস্ট ওপেনার।

ভারতীয় খবরের ওয়েবসাইট ফার্স্ট পোস্ট জানায়, বক্তব্যে সিধু বলেন, ‘তামিল নাড়ুতে গেলে সেখানকার ভাষা বুঝতে পারিনা। আমি ওদের খাবার পছন্দ করিনা তা নয়, কিন্তু বেশিক্ষণ ভালো লাগে না। ওখানকার সংস্কৃতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। কিন্তু পাকিস্তানে গেলে তেমন কোনো সমস্যা নেই। ওখানকার ভাষাও একই রকম। আর সবকিছু খুব সুন্দর।’

‘পাকিস্তানে গেলে পাঞ্জাবির পাশাপাশি ইংরেজি বলা যায়। পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের মিল অনেক বেশি,’ যোগ করেন সিধু।

ইমরানের খানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে গিয়ে পাক সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গন করে দেশ জুড়ে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন সিধু।

ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, পাক সেনার মদদে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে যখন কাশ্মীরে একের পর হামলা চালানো হচ্ছে, নিহত হচ্ছেন জওয়ানেরা। তখন সিধুর এই সৌভ্রাতৃত্বের আলিঙ্গন ভাল চোখে নেননি ভারতের অনেকেই। মূলত বিজেপি শিবির থেকেই সমালোচনার তির ছুটে গিয়েছিল সিধুর দিকে। সিধুকে অবশ্য টলানো যায়নি কোনও ভাবেই।

পরে তিনি বলেন, পাক সেনাপ্রধান তাকে ভারতের শিখদের জন্য কর্তারপুর সীমান্ত খুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। পাকিস্তানের কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বার দেখতে পাবেন ভারতের শিখরা, এই আনন্দের আতিশয্যেই স্বতস্ফূর্তভাবে পাক সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গন করে ফেলেছিলেন তিনি।

একই সঙ্গে সিধু জানিয়েছেন, ‘সীমান্ত খুলে দিলে শুধু ‘ঝাপ্পি (আলিঙ্গন)’ নয়, প্রয়োজনে ‘পাপ্পি (চুম্বন)’-ও দেব পাক সেনাপ্রধানকে।’