পাল্টা যুক্তরাজ্যের কূটনীতিক বহিষ্কারের হুমকি রাশিয়ার

২৩ কূটনীতিককে বহিষ্কারের জবাবে এবার রাশিয়া হুমকি দিয়েছে, তারাও যুক্তরাজ্যের কূটনীতিক বহিষ্কার করবে। এ ব্যাপারে শিগগিরই জানানো হবে। যুক্তরাজ্যে এক সাবেক গোয়েন্দার ওপর নার্ভ এজেন্ট প্রয়োগের দায় রাশিয়ার ওপর চাপানোর পর দেশটির ২৩ কূটনীতিককে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটিশ সরকার। এদিকে নার্ভ এজেন্ট প্রয়োগের ঘটনায় যুক্তরাজ্যের পক্ষ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স।

সাবেক ডাবল এজেন্ট সের্গেই স্ক্রিপাল (৬৬) ও তাঁর মেয়ে জুলিয়া স্ক্রিপালকে গত ৪ মার্চ যুক্তরাজ্যের স্যালিসবারি নগরীর উইল্টশায়ার এলাকায় বেঞ্চের ওপর থেকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ব্রিটিশ সরকারের দাবি, ওই দুজনের ওপর নোভিচক নামের এক ধরনের নার্ভ এজেন্ট প্রয়োগ করা হয়েছে। ওই নার্ভ এজেন্ট সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে তৈরি এবং অন্য কোনো দেশ এটা তৈরি করে না বলেও যুক্তরাজ্যের দাবি।

এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার কাছে যুক্তরাজ্য ব্যাখ্যা চায় এবং ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য গত মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়। কিন্তু রাশিয়া স্যালিসবারির ঘটনাকে ‘কল্পকাহিনি’ অ্যাখ্যা দিয়ে কোনো রকম ব্যাখ্যা দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায় অস্বীকার করে। রাশিয়ার এ অবস্থান ঘোষণার পর পরদিন বুধবার যুক্তরাজ্য তাদের দেশ থেকে ২৩ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্করের ঘোষণা দেয়।

এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জানান, যুক্তরাজ্যের ওই পদক্ষেপের জবাবে রাশিয়া থেকেও ব্রিটিশ কূটনীতিকদের ‘অবশ্যই’ বহিষ্কার করা হবে। কবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘শিগগির। আমি এ ব্যাপারে অঙ্গীকার করছি।’

স্যালিসবারির ঘটনায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ যুক্তরাজ্যের পক্ষ নিয়েছেন। গতকাল ম্যাখোঁর সঙ্গে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মের ফোনালাপের পর ম্যাখোঁর কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলে, ‘ব্রিটিশ তদন্তকারীদের সংগ্রহ করা প্রমাণ এবং হামলায় রাশিয়ার সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত বহনকারী সূত্রগুলোর ব্যাপারে এ সপ্তাহের শুরু থেকেই ফ্রান্সকে নিবিড়ভাবে ওয়াকিবহাল করছে ব্রিটেন। (হামলার ব্যাপারে) অন্য কোনো বিশ্বাসযোগ্য ব্যাখ্যা যে নেই, এ ব্যাপারে ব্রিটেনের সঙ্গে ফ্রান্স একমত এবং মিত্রের সঙ্গে একাত্মতা পুনর্ব্যক্ত করছে।’

এদিকে গত বুধবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি সভায় যুক্তরাষ্ট্রের দূত নিকি হ্যালি ব্রিটেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ‘পূর্ণ একাত্মতার’ কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউসও হ্যালির বক্তব্যকে সমর্থন করে বিবৃতি দেয়।

সূত্র : এএফপি, সিএনএন।