প্রকাশ্যে গাছের সঙ্গে বেঁধে নারী ও পুরুষ শ্রমিককে নির্যাতন

পরকীয়ার অভিযোগ তুলে ইটভাটার এক নারী ও এক পুরুষ শ্রমিককে গাছের সঙ্গে বেঁধে প্রকাশ্যে বেধড়ক পেটানো হয়েছে। এ সময় পুরুষ শ্রমিকের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের বুদ্দিনগর এলাকায় গত ২ জুন রবিবার।

জাফর নামে স্থানীয় এক গ্রাম্য চিকিৎসক ও তার কয়েক সহযোগী মিলে এ ঘটনা ঘটায়। ওই নারী ও পুরুষ শ্রমিককে নির্যাতনের ভিডিও দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে নির্যাতিতা ওই নারী ৮ জনের বিরুদ্ধে সুধারাম থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান আসামি জাফর নামের এক গ্রাম্য চিকিৎসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

দুই খণ্ডে মোবাইলে ধারণকৃত ৫ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায় পুরুষ শ্রমিককে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে। পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে নারী শ্রমিককে। প্রথমে নারী শ্রমিককে ওই গ্রাম্য চিকিৎসক জাফর একটি লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে।পরে গাছের সঙ্গে বেধে রাখা পুরুষ শ্রমিককেও মারতে থাকে। এভাবে কয়েক দফায় তাদের দুইজনকে মারধর করা হয়।

জাফরের সঙ্গে থাকা জাহাঙ্গীর, ইয়ার আহাম্মদ, সেলিম, গিয়াস উদ্দিনসহ আরো কয়েকজন তাদের মারধর করে। এক পর্যায়ে পুরুষ শ্রমিককে বেঁধে রাখা অবস্থার তার মাথার চুল কেটে ন্যাড়া দেয় তারা।

ভিডিওটি গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে পৌঁছার পর খবর নিয়ে জানা যায়, নির্যাতিত ওই পুরুষ শ্রমিক জেলা শহর মাইজদীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরে বুধবার সন্ধ্যায় তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

নির্যাতিত ওই পুরুষ শ্রমিক বলেন, ‘সহকর্মী ওই নারীর কাছে পাওনা দুই হাজার টাকা আনার জন্য সকালে আমি তার বাড়িতে যায়। তখন স্থানীয় কিছু লোকজন পরকীয়ার মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাকে ধরে নিয়ে যায়। এ অপবাদ মিথ্যা বলে আমাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ওই নারী ও তার মা অনুরোধ করেন। তখন তারা ছেড়ে না দিয়ে উল্টো আমার সঙ্গে ওই নারীকেও নিয়ে গিয়ে মারধর করে।

আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনা সরকারের বিকল্প নেই: গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী

সুধারাম মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, নির্যাতিতা নারী মামালা দায়ের করলে অভিযুক্ত জাফরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।