প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলো পাকিস্তান, পাইলটকে হস্তান্তর

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রতিশ্রুতি পূরণে আটক ভারতীয় বিমান বাহিনীর পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে ভারতের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করেছে পাকিস্তান। শুক্রবার ভারতীয় সময় ৫টা ৪৫ মিনিটে লাহোরের ওয়াঘা-আতারি সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় কর্মকর্তাদের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়।

এর কিছুক্ষণ আগে অভিন্দনকে নিয়ে লাহোর পৌঁছেন পাকিস্তানি কর্মকর্তারা। এরপর ওয়াঘা সীমান্তে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।

পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডনের খবরে বলা হয়েছে, এর আগে শুক্রবার সকালে ওই পাইলটকে নিয়ে সড়ক পথে লাহোরের উদ্দেশ্যে রওনা হন পাকিস্তানি কর্মকর্তারা।

পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ডন আরো জানায়, ভারতীয় হাইকমিশনের অ্যাটাশে জে টি ক্যুরিয়েন অভিনন্দনের সঙ্গে রয়েছেন।

এদিকে, ভারতীয় বিমানবাহিনী জানিয়েছে, লাহোরে মুক্তির পর অভিনন্দনকে অমৃতসর হয়ে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পার্লামেন্টে ঘোষণা দেন যে, শান্তির নিদর্শন হিসেবে আগামীকালই (আজ) ভারতীয় পাইলটকে মুক্তি দেওয়া হবে। এ সিদ্ধান্তের কারণে জাতীয়, আন্তর্জাতিক এমনকি ভারতীয়দেরও প্রশংসা কুড়াচ্ছেন পাক প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে বুধবার সকালে পাকিস্তানি বিমানবাহিনী ভারতের দুটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করে এবং ওই ভারতীয় পাইলটকে আটক করে। তার আগে মঙ্গলবার ভোররাতে পাকিস্তানের বালাকোট, চাটোকি ও মুজাফফরাবাদ সীমান্তে হামলা চালায় ভারতীয় বিমানবাহিনী।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক পাক-ভারত উত্তেজনা শুরু হয়। ওই হামলায় ৪৯ ভারতীয় সেনা নিহত হয়।

অন্যদিকে, অভিনন্দনের মুক্তির খবর শুনেই শুক্রবার সকাল থেকে ওয়াঘা সীমান্তে হাজির হয় কয়েক শ ভারতীয়। তারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা ছিলেন কখন মুক্তি দেওয়া হবে অভিনন্দনকে।

আনন্দবাজার বলছে, সকালেই ওয়াঘা সীমান্তে পৌঁছেন অভিনন্দনের বাবা এয়ার মার্শাল এস বর্তমান এবং মা শোভা বর্তমান। এ ছাড়া ভারতীয় বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারাও ওয়াঘা সীমান্তে আগেই উপস্থিত হন।

একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, অভিনন্দনকে বিমানে ভারতে ফেরত পাঠানো হোক— এমনটাই নাকি ইসলামাবাদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিল নয়া দিল্লি। কিন্তু ইসলামাবাদ সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে জানিয়ে দেয়, ওয়াঘা-আতারি সীমান্ত দিয়েই অভিনন্দনকে তুলে দেওয়া হবে।