ফেসবুক ফ্রেন্ডের ধর্ষণের শিকার তরুণীর মামলা ফেসবুকের বিরুদ্ধে

পনেরো বছর বয়সে এক ফেসবুক ফ্রেন্ডের দ্বারা ধর্ষিত, নির্যাতিত ও যৌনদাসী হিসেবে পাচার হওয়ার পর এক মার্কিন নারী সামাজিক মাধ্যমটির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ওই দালাল ফেসবুকে বন্ধু হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে। ফেসবুকের কর্মচারীরা জানতো তাদের সাইটে একটি চক্র এভাবে শিশুদের যৌনকর্মী হিসেবে পাচারে সক্রিয় রয়েছে।

জেন ডো নামের ওই নারী সোমবার হ্যারিস কাউন্টি ডিসট্রিক্ট কোর্টে এই মামলা দায়ের করেন। ফেসবুকের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাকপেজ ডট কম নামের একটি সাইটের বিরুদ্ধেও মামলা করেছেন তিনি। ব্যাকপেজের সাইট মার্কিন কর্তৃপক্ষ কয়েকদিন আগে বন্ধ করে দিয়েছে।

এ বিষয়ে রয়টার্সকে কোনো মন্তব্য দেয়নি ফেসবুক বা ব্যাকপেজ।

মামলায় বলা হয়, ২০১২ সালে ওই দালাল মেয়েটিকে ফেসবুক মেসেজে জানায় সে ওই মেয়ের বন্ধুদেরকে চেনে। এরপর তাদের মধ্যে বন্ধুত গড়ে ওঠে।

একসময় মেয়েটি তার মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করলে, ওই ফেসবুক ব্যবহারকারী তাকে সান্ত্বনা দিতে এগিয়ে আসে। কিন্তু মেয়েটিকে তার বাড়ি থেকে নিয়ে আসার পর ওই পাচারকারী তাকে মারধর এবং ধর্ষণ করে। এরপর তার ছবি তুলে ব্যাকপেজ ডটকমে বিজ্ঞাপন দেয়।

মেয়েটির অভিযোগ, ফেসবুক ওই লোকের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়নি। ওই ব্যক্তি ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যব্হার করছিল। সামাজিক মাধ্যমে যৌনদাসী পাচারকারীরা সক্রিয় রয়েছে এ বিষয়ে ফেসবুক সাইটটি কখনোই জেন ডোকে সতর্ক করেনি।