বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে আস্থার সংকট কি বাড়ছে?

বাংলাদেশে রাজশাহী, সিলেট এবং বরিশাল – এই তিনটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মাঠে এখন রাজনৈতিক দলগুলো তুমুল লড়াইয়ে নেমেছে।

জাতীয় নির্বাচনের কয়েকমাস আগে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনগুলোকে অনেক গুরুত্ব দিচ্ছে দলগুলো।

তবে, গাজীপুর এবং তার আগে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে যে ধরণের কারচুপির অভিযোগ উঠেছে, তার ফলে নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে আস্থার সংকট বা সন্দেহ কি আরও বাড়বে? সেই প্রশ্ন এখন উঠছে।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আমি নিজেই বেশ কয়েকটি ভোট কেন্দ্র ঘুরে নানা অনিয়ম দেখেছিলাম।

গত ২৬শে জুন অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে আমি যে কেন্দ্রগুলোতে গিয়েছিলাম, তার অনেক কেন্দ্রে বিরোধী দল বিএনপি’র মেয়র প্রার্থীর এজেন্ট ছিল না।

একটি কেন্দ্রে বিএনপি’র মেয়র এবং কাউন্সিলর প্রার্থীদের এজেন্টকে বের করে দেয়ার পর তারা সেখানে প্রতিবাদ করলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছিল।

ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে নৌকা মার্কায় সিল মারার ঘটনা দেখারও অভিজ্ঞতা হয়েছিল।

একটি কেন্দ্রে আমার সাংবাদিক পরিচয় বুঝতে পেরে কয়েকজন যুবক সিল মারা ব্যালটগুলো একসাথে বাক্সে ভরে দ্রুত কেন্দ্র ত্যাগ করেছিল।

এর আগে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়েও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে বিরোধীদল বিএনপি।

এখন তিনটি সিটি কর্পোরেশন রাজশাহী, সিলেট এবং বরিশালে ৩০শে জুলাই যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, সেই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে।

কিন্তু বিএনপিতে নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ বা আস্থার সংকট বেড়েছে।

দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনে করেন, ক্ষমতাসীনরা সচেতনভাবেই নির্বাচন কমিশনকে ঠুঁটো জগন্নাথ বানিয়ে বিতর্কিত নির্বাচন করছে।

“নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। সেই নির্বাচন কমিশন কোনো দায়িত্বই পালন করতে পারে না। এবং তারা কিছুই করতে পারে না।একটা ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত হয়েছে। আমরা বার বার অভিযোগ করার পরও বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে গাজীপুরে তারা কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি।প্রত্যেকটি জায়গায় একই ঘটনা ঘটছে। কেন্দ্রগুলো দখল করে নিয়ে চলে যাচ্ছে। এজেন্টদের থাকতে দিচ্ছে না।”

“এ সরকার তো অত্যন্ত সচেতনভাবে এই প্রতিষ্ঠানটিকে শেষ করে দিয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা আর কখনও সুস্থ হবে বলে আমাদের মনে হয়না।”

-বিবিসি বাংলা