সিলেটে গাছে বেঁধে কিশোর নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার মানাউড়া পূর্বপাড়া গ্রামে মো. রাসেল (১৫) নামের এক কিশোরকে নির্যাতনের ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে (ছড়িয়ে পড়িছে)। এ ঘটনায় সোমবার ইসবর আলী নামের এক বৃদ্ধকে আটক করেছে পুলিশ।

ঘটনার তদন্তে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে গোয়াইনাঘাটের সালুটিকর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সুশঙ্কর পালকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, গত ২৯ অক্টোবর গোয়াইনঘাট উপজেলার মানাউড়া পূর্বপাড়া গ্রামে রাসেলকে চুরির অভিযোগে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের ভিডিওচিত্র ধারণ করে প্রত্যক্ষদর্শীরা। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে রাসেলকে মাদক বিক্রেতা সাজিয়ে পুলিশের সহায়তায় দেওয়া হয় মাদক মামলা। পরে ওই শিশুকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর শুরু হয় তোলপাড়। খোঁজ নিতে শুরু করেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সোমবার ওই নির্যাতনের ঘটনায় বৃদ্ধ ইসবর আলীকে আটক করে পুলিশ। সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু হাসনাত খানকে প্রধান করে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। কমিটির অপর দুই সদস্য হচ্ছেন সহকারী পুলিশ সুপার নুরুল আবছার খান ও ক্রাইম শাখার পুলিশ পরিদর্শক সৈয়দ সফিকুল ইসলাম মুকুল। কমিটি তিনদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

শামসুল আলম আরো জানান, শিশু নির্যাতনের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে সালুটিকর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সুশঙ্কর পালকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ছাড়া গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্যাতনের ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

এর আগে ২০১৫ সালের ৮ জুলাই সিলেটে চুরির অপবাদে সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। একই বছর ৮ নভেম্বর সিলেটের আদালত এ হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এ ছাড়া একজনকে যাবজ্জীবন ও পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন। চলতি বছর ১১ এপ্রিল হাইকোর্টও চারজনের ফাঁসি বহাল রাখেন।-এনটিভির সৌজন্যে