৮ হাজার রোহিঙ্গাকে ‘স্বীকার’ করেছে মিয়ানমার

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী জানিয়েছেন, প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ থেকে দেয়া ৮ হাজার রোহিঙ্গার প্রথম তালিকা যাচাই করে তাদের স্বীকার করেছে মিয়ানমার। আর প্রথম দল হিসেবে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশ।

সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি আরব সফর উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মিয়ানমারের কাছে ৮ হাজার রোহিঙ্গার একটি তালিকা দিয়েছিলাম। দেশটির সরকার যাচাই-বাছাই করে তাদের ক্লিয়ার করেছে (অধিবাসী হিসেবে শনাক্ত করেছে)।

তিনি বলেন, এসব বিষয়ে আলোচনা করতেই চলতি মাসের শেষেই বাংলাদেশে আসছেন মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে দেশটির সরকারি প্রতিনিধি দল।

প্রত্যাবাসনের অগ্রগতি জানতে চাইলে মাহমুদ আলী বলেন, ‘বলার মতো নতুন কিছু নেই। প্রক্রিয়া চলছে।’

তিনি বলেন, এ বিষয়ে তাদের গত মাসে আমি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই, মিয়ানমারের ইউনিয়নমন্ত্রী টিন্ট সোয়ে এবং জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলাম। সেখানে চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা এক হাজার বাড়ি তৈরি করে দেবে।

মাহমুদ আলী বলেন, আমরা বলেছি- রোহিঙ্গাদের নেয়ার পর তাদের থাকার জন্য রাখাইন প্রদেশের গ্রামে ঘর তুলতে হবে। ভারত এ ক্ষেত্রে মিয়ানমারকে সহযোগিতা করছে।

যে ৮ হাজার লোককে মিয়ানমার শনাক্ত করেছে তারা কোন গ্রামের অধিবাসী সেটিও খুঁজে বের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রথম ব্যাচে ৮ হাজার যাবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার ৮ হাজার জনকে ক্লিয়ার করেছে। এর মধ্যে যদি আরও কিছু হয় তারাও যাবে।’

তবে কবে প্রথম ব্যাচের রোহিঙ্গারা যাবেন- এ বিষয়ে কিছু বলেননি মন্ত্রী।

মিয়ানমারের সঙ্গে চলতি বছরের জানুয়ারিতে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় গত ফেব্রুয়ারিতে প্রত্যাবাসনের জন্য প্রথম তালিকায় ১ হাজার ৬৭৩টি পরিবারের ৮ হাজার ২ জন রোহিঙ্গার নাম পাঠায় বাংলাদেশ।

ওই চুক্তি অনুযায়ী, দুই বছরের মধ্যে ৭ লাখের মতো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কথা। কিন্তু সময়মতো প্রত্যাবাসন দূরে থাক মাত্র ৮ হাজারের প্রথম তালিকা যাচাই করতেই অনেক সময় নিলো মিয়ানমার।