প্রতিবন্ধী যুবতী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা, সিএনজি চালক গ্রেফতার
পরশুরামে এক অবিবাহিত প্রতিবন্ধী যুবতী ধর্ষণের শিকার হয়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন। এই ঘটনায় প্রতিবন্ধীর মা বাদী হয়ে পরশুরাম থানায় একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত সেলিমকে গ্রেফতার করেছে।
উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের মধ্যম ধনিকুন্ডা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত মো. সেলিম উপজেলা চিথলিয়া ইউনিয়নের মধ্যম ধনিকুন্ডা গ্রামের মো. ছাদেক মিয়ার ছেলে। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর থেকে সিএনজি চালক সেলিম (৫০) আত্মগোপনে চলে যান। পরে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে খাগড়াছড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। ঘটনার দিন ১৭ ফেব্রুয়ারি গরুর জন্য বাড়ির পাশে ঘাস কাটতে গেলে সিএনজি চালক সেলিম তাকে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। একইভাবে গত ২৮ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় তাকে ধর্ষণ করে। এরপর তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। বর্তমানে তিনি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ মে ভুক্তভোগী হঠাৎ অসুস্থ হলে তাকে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ওই প্রতিবন্ধীর মা ১৮ মে বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনকে জানান। জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিয়ে শালিসের মাধ্যমে মীমাংসা করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে অভিযুক্ত সেলিম দুই দিনের সময় নিয়ে শালিস থেকে বের হয়ে আত্মগোপনে চেলে যান।
চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি মায়ের কাছ থেকে শোনার পর সেলিমকে ডেকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। সেলিম প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করেন। দুই দিন সময়ে চেয়ে বাড়িতে গিয়ে সে পালিয়ে যায়। তারপর ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের থানায় মামলা করার পরামর্শ দিলে ৩০ মে রাতে সেলিমের বিরুদ্ধে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসাইন খান বলেন, এক শারীরিক প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের ঘটনায় মেয়ের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে খাগড়াছড়ি বাজার থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
জানা যায়, ভুক্তভোগীর বাবা সাত বছর আগে মারা যান। তাদের পরিবারের আয় রোজগার করার মতো কেউ নেই। মানুষের সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে তারা জীবিকা নির্বাহ করেন। তার আরও দুই ভাই শারীরিক প্রতিবন্ধী।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন