ফেনীতে যুবকের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, ৩ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

ফেনীতে এক যুবকের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় ঘটনাস্থলে নিয়োজিত পুলিশের এসআই যশোমন্ত মজুমদার ও দুই কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) রাতে তাদের প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন ফেনীর পুলিশ সুপার খন্দকার নুরুন্নবী।

পুলিশ সুপার জানান, যুবকটি মানসিক ভারসাম্যহীন। পুলিশ কর্তব্য পালনকালে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে পুলিশের উপর ক্ষেপে যায় এবং মারতে আসে। তখন পুলিশ আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছে। তার গায়ে হাত তোলা পুলিশের উদ্দেশ্য নয়। তারপরও এমন ঘটনা ঘটায় তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে ফেনী শহরের ট্রাংক রোডের মডেল হাই স্কুলের সামনে পুলিশের সঙ্গে শহিদুল ইসলাম নামে এক যুবকের বাকবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। স্থানীয়রা জানান, গত কিছুদিন থেকে শহিদুল ইসলাম মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে অসংলগ্ন আচরণ করছেন।

৩ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনার দিন বিকেলে ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম মাস্ক ছাড়াই রিকশাযোগে উকিলপাড়া থেকে ট্রাংক রোডের দিকে যাচ্ছিলেন। শহরে মডেল স্কুলের সামনে মডেল থানার দায়িত্বরত এসআই যশোমন্ত মজুমদারসহ পুলিশ সদস্যরা রিকশার গতিরোধ করে। কেন তার গতিরোধ করা হলো বলে ওই যুবক চিৎকার করে বলতে থাকে- ‘অন্য রিকশা ছেড়ে দিছস। আমার রিকশা কেন ধরা হয়েছে।’

একপর্যায়ে তাকে রিকসা থেকে জোরপূর্বক নামানো হলে ওই যুবক পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ করে গালমন্দ করতে থাকে। পুলিশ সদস্যরা তখন তাকে ‘পাগল’ আখ্যা দিলে কেন পাগল বলা হলো তার কারণ জানতে চান। তার হাতে হাতকড়া লাগানোর চেষ্টা করলে ৪ পুলিশ সদস্যের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। তখন ওই যুবক বারবার বলতে থাকে- ‘এ দেশ পুলিশের দেশ।’ হাতকড়া লাগাতে না পেরে এক পুলিশ সদস্য তাকে পিচমোড়া ধরে রাস্তায় চেপে ধরলে সড়কের আশপাশে থাকা লোকজন উচ্চস্বরে হইচই করতে থাকে। হাতকড়া লাগানোর পর দাঁড়িয়ে ওই যুবক পুলিশকে কিল-ঘুষি মারতে দেখা যায়।

ফেনী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) ওমর হায়দার জানান, থানায় নেওয়ার পর জানা গেছে ওই যুবক কিছুদিন পরপর ‘ভাইরাল’ হতে চায়। ভবিষ্যতে এমন কাজ করবে না মর্মে মুচলকো দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।