অনুমতি দিলে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে বড় জনসভা করবে বিএনপি

খুলনায় অনুমতি দিলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে বিএনপি বড় জনসভা করবে বলে দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সেই ভয়েই বিএনপিকে জনসভার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের নাসিমন ভবনের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন বিএনপি নেতা।

আগামী ১০ মার্চ খুলনা সার্কিট হাউসে জনসভার অনুমতি দেওয়া হলে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার চেয়ে কয়েকগুণ বড় জনসভা হবে বলে দাবি করেন আমীর খসরু। একই সঙ্গে চট্টগ্রামের লালদীঘির মাঠে জনসভার অনুমতি চাওয়ার কথাও জানান তিনি।

বিএনপি নেতা আরো বলেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, খুলনায় সার্কিট হাউস ময়দানে যদি বিএনপিকে অনুমতি দেওয়া হয়, আজকে প্রধানমন্ত্রী যে জনসভা করেছে, বেগম খালেদা জিয়াকে (বিএনপির চেয়ারপারসন) বাইরে রেখেও বিএনপি যে জনসভা করতে পারে, প্রধানমন্ত্রীর জনসভার চেয়েও কয়েকগুণ বড় জনসভা হবে। আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চেয়েছি, সেটাও ঝুলছে, সেই অনুমতিও ঝুলছে। আমি হলফ করে বলতে চাই, আজকে প্রধানমন্ত্রী যত বড় জনসভা করেছে, তার চাইতে বেশি বড় হবে, বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে। তার চেয়ে কয়েকগুণ বড় জনসভা হবে। এই জন্যই তো ভীত সন্ত্রস্ত। আমরা চট্টগ্রামে লালদীঘির মাঠে জনসভার অনুমতি চাইব।’

অসাংবিধানিক ও অনৈতিক উপায়ে নির্বাচনের এক বছর আগে থেকেই ক্ষমতাসীন সরকার নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন খসরু।

সাবেক এ বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে সবকিছুর ব্যত্যয় ঘটিয়ে অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী জনসভা ডেকে জনগণকে শপথ করাচ্ছে। এটা সংবিধানের পরিপন্থী, আইনের পরিপন্থী, নৈতিকতার পরিপন্থী। এর কারণ আছে, উনি জানেন। উনার দল, উনার পায়ের নিচে কোনো মাটি নাই। নাইলে এক বছর আগে জনসভা ডেকে শপথ করানোর দরকারটা কী? যদি জনগণের ওপর আস্থা থাকত, তাইলে শপথ করিয়ে তো ভোট চাইতে হয় না। আর ভোট চাওয়ারও নিয়ম নেই। এটা অনৈতিক, এটা অসংবিধানিক, এটা বেআইনি। জনগণ থেকে এতটা বিচ্যুত হয়েছে, আস্থা হারিয়ে ফেলেছে, অন্যদিকে বিএনপির নির্ভরশীলতা হচ্ছে জনগণের ওপর।’

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবেই চট্টগ্রাম বিএনপি এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। নগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে কথা বলেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান শামীম, শামসুল আলম ও আবুল হাসেম বক্কর।