অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের হিড়িক

হঠাৎ করে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের ড্রেজার মেশিনে ছেয়ে গেছে শরীয়তপুর গোসাইরহাট উপজেলা। প্রায় ৫০টি অবৈধ ড্রেজার দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন ও ভরাট করায় পরিবেশের বিপর্যয় ঘটছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।

উপজেলার কোদালপুর আলওয়ালপুর বালুরচরে পদ্মা মেঘনার শাখা নদী সংলগ্ন থেকে প্রভাবশালী বাচ্চু বকাউল, কালু পরমানিক, আজহারুল খান এর ৩ টি ড্রেজার চলছে একই স্থানে যে কোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে আশপাশের বসবাসকারী বাড়ীঘর গুলো। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৫০টি অধিক ড্রেজার মেশিন দিয়ে সরকারি নদী-নালা,খাল ও পুকুর থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে মারাত্মক হুমকির মুখে বাড়িঘর, হাট-বাজার,মসজিদ-মাদ্রাসাসহ -সরকারী নানা স্থাপনা। উপজেলার পদ্মা মেঘনার শাখা নদী সংলগ্ন বেশ কয়েকটি স্থান মারাত্মক ভাঙনের ঝুঁকির সস্মুখীন হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, ৫০টি অধিক বালু উত্তোলনকারী ড্রেজার প্রতিদিন ৬.৫ লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করছে। উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় এ অবৈধ বালু উত্তোলন করলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

এলাকাবাসীরা আরও বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাসিক চুক্তির ভিত্তিতে টাকা দেয় বালু ব্যবসায়ীরা। তাই এ ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয় না।

ড্রেজার মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।

এ ব্যাপারে ড্রেজার মালিক প্রভাবশালী বাচ্চু বকাউল এর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, শরীয়তপুরে আরও ড্রেজার যেভাবে চলে আমি সে ভাবে ড্রেজার চালাই, অতিরিক্ত কোন কিছুই ভাল না, আর আপনি অনেক বড় সাংবাদিক হয়ে গেছেন যে আপনি নিউজ করলেই সব কিছু হয়ে যাবে। আপনি নিউজ করলে আমাদের কিছুই হবে না, আমাদের বাড়ীর পাশে নদী, আমাদের জায়গা আমরা সেখান থেকে মাটি কাটবোই, আপনারা যা পারেন কইরেন, আমরা সব কিছু ম্যানেজ করে চলি।

এ ব্যাপারে আলওয়ালপুর ইউপি চেয়ারম্যান ওসমান বেপারী বলেন, আমি এখনো কোন পদক্ষেপ নেই নাই, এখনো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানাই নাই। আমি আজই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানাবো। যারা নদী থেকে এভাবে অবৈধভাবে মাটি কাটতেছে ্এটা খুবই দু:খ জনক, এর একটা বিহীত হওয়া দরকার।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মাদ ইয়াহ ইয়া খান বলেন, অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের বিরুদ্ধে অতি শ্রীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।