আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দ্বিতীয় রানারআপ পুরস্কার পেলো জবি শিক্ষার্থী

২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দ্বিতীয় রানারআপ হিসেবে পুরস্কার পেলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী মৃত্তিকা রাশেদ পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘কৃষ্ণপক্ষ’। কৃষ্ণপক্ষে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী নাঈম রাজ।

‘অ্যাওয়ার্ড বাই ফিপরেস্কি জুরি সল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার লাভ করে চলচ্চিত্রটি। এর ইংরেজি নাম ‘এ বার্নিং সোল’।

পুরস্কার বিজয়ী জবি শিক্ষার্থী নাঈম রাজ বলেন, কৃষ্ণপক্ষে চলচ্চিত্রে আমি সদ্য স্নাতক পাস করা একজন সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেছি। চলচ্চিত্রটিতে বাস্তবতা এবং পরবাস্তবতার সেতুবন্ধন করা হয়েছে। চলচ্চিত্রটি আমার কাছে একটি নতুন অভিজ্ঞতা। নিজেকে বাস্তবতা থেকে সম্পূর্ণরূপে পরাবাস্তবায় নিয়ে যাওয়াটা মোটেও সহজ কথা নয়। তবে চলচ্চিত্রের প্রয়োজনে নিজের মনস্তত্বে সেই পরিবর্তন আনতে হয়েছে। মৃত্রিকা রাশেদ এর চিন্তা ও কর্মে আমি মুগ্ধ হয়েছি। তার মধ্যে আমি অপার সম্ভাবনা লক্ষ্য করি।
চলচ্চিত্রটিতে নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে ছিলেন রাশেদ বিপ্লব, সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে জাহেদ নান্নু, সম্পাদক বনি চৌধুরী, স্পেশাল ইফেক্ট রাহান আল রাশিদ, সংগীতে আহসান আল মিরাজ, আর্ট ডিরেক্টর মৃত্রিকা রাশেদ, কস্টিউম জায়েদ মিন আশরাফ এবং পোস্টার নিয়ে পরাগ ওয়াহিদ কাজ করেন।
২২ জানুয়ারি (রবিবার) জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে রেইনবো ফিল্ম সোসাইটির আয়োজনে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৭টি ক্যাটাগরিতে মোট ১৮টি পুরস্কার দেওয়া হয়। কৃষ্ণপক্ষ চলচ্চিত্রটি ক্যাশ অ্যাওয়ার্ড হিসেবে ১ লাখ টাকার পুরস্কার লাভ করেছে।

উল্লেখ্য, নয় দিনব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব গত ১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় যা ২২ জানুয়ারি শেষ হয়। এতে ৭১টি দেশের মোট ২৫২টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ১০ টি স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রদর্শিত হয়।
জবি শিক্ষার্থীদের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো ছিল যথাক্রমে- মৃত্তিকা রাশেদের ‘কৃষ্ণপক্ষ’ আদনান মাহমুদ সৈকতের ‘পুরস্কার’, রাগিব শাহরিয়ারের ‘না পাক’, শাহ সাকিব সোবহানের ‘অংক সরল ফলাফল শূন্য’, জেরিন চাকমার ‘জার্নি টু জিরো’, মুরতাজা মামুনের ‘এন এলেজিয়াক পয়েম ’, , সাকিব হোসাইনের ‘টাইপ’, জাকির হাসান অনিকের ‘সারভাইভ উইথ ট্রাফিক জ্যাম’, শাহরিয়ার খানের ‘দ্যা ডোর ’ ও সৌরভ কামাল চৌধুরীর ‘এনগার’।